ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে জঙ্গীরাই মাধব মাস্টারকে হত্যা করে ॥ স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৪ মে ২০১৬

নীলফামারীতে জঙ্গীরাই মাধব মাস্টারকে হত্যা করে ॥ স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জলঢাকা উপজেলার গোলমু-া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায় (৪৫) কোন বিরোধের ঘটনায় হত্যার শিকার হয়নি। তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির জঙ্গীরা গুলি করে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনার ৯ মাস পর শনিবার রাতে নীলফামারী ডিবি পুলিশের হাতে আটক চার জেএমবি সদস্যদের মধ্যে জলঢাকা উপজেলার গোলমু-া ইউনিয়নের ঘাটেরপাড় এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৭) নামের এক জঙ্গী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। হত্যা মিশনের এই জঙ্গী রবিবার বিকেলে নীলফামারী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। অপর তিন জঙ্গী বিভিন্ন হত্যা মিশনে সহায়তা করে থাকে বলেও আদালতে জবানবন্দী দেয়। এই তিনজন হলো জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের তিলাই গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে বজলুর রহমান ওরফে বজলু (৩০), ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের পাটোয়ারিপাড়ার বজলুর রশীদের ছেলে সাইফুর রহমান (৩৭) এবং ডিমলা উপজেলার সোনাখুলি চাপানীহাট এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে কারী মোঃ মীর কাশেম (৩০)। জানা যায়, ২০১৫ সালের ৯ আগস্ট সকালে জলঢাকা উপজেলা শহরের বাসভবন থেকে একটি ইজিবাইকে স্কুলে যাচ্ছিলেন শিক্ষক মাধব চন্দ্র রায়। এ সময় ওই ইজিবাইকে অপরিচিত আরো চারজন লোক উঠে। ইজিবাইকটি স্কুলের অদূরে পৌঁছলে ইজিবাইকে থাকা যাত্রীবেশী জঙ্গীরা প্রকাশ্যে মাধব চন্দ্রের পেটে ও মাথা লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী ডিবি পুলিশ শনিবার রাতে ও ভোরে জলঢাকা ডোমার ও ডিমলা উপজেলার গোলমু-া ইউনিয়নের অভিযান চালিয়ে এই চার জঙ্গী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। জঙ্গীগোষ্ঠীর অভিযোগ মাধব মাস্টার ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছিল বলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নীলফামারীর পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান বলেন, আটককৃতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম মাধব চন্দ্র হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। চালকের সচেতনতার অভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা ॥ ও. কাদের স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সড়ক-মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত ও থ্রি-হুইলার গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনা বেড়ে গেছে। চালকদের অসচেতনতাই সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঘোড়দৌর ও হলদিয়া এলাকায় পৃথক দুটি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে পদ্মা সেতুর শতকরা ৩৪ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যন্ত সেতুর ১১টি পাইলের কাজ শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, আগে রাস্তা খারাপ থাকার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটত কিন্তু এখন রাস্তা সব ভাল। অথচ এখন চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালকদের আরও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। চালকদের বেশি করে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।
×