অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সময় তিন ঘণ্টারও কম। চোরের সংখ্যা অন্তত ১০০ জন। তারা ঢুকে পড়েছিল ১৪শ’ এটিএম বুথে। প্রতিবার তুলে নেয় এক লাখ ইয়েন করে। এভাবে তারা ১৪ হাজার বার লেনদেন করে। খোয়া যাওয়া অর্থের অঙ্ক ১ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ইয়েন (১৩ মিলিয়ন ডলার)। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ১০৪ কোটি টাকার বেশি। জাপানের টোকিও এবং আরও ১৬টি প্রদেশে ছড়িয়ে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রায় ১৪শ’ এটিএম বুথে গত ১৫ মে একযোগে চোরচক্র হানা দেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার ওই ব্যাংক থেকে ‘ফাঁস’ হয়ে যাওয়া ১৬শ’ এ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে জালিয়াত চক্র নকল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে এই অর্থ হাতিয়ে নেয়। কীভাবে এ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে তা বের করতে দেশটির পুলিশ, ইন্টারপোল ও ব্যাংকটির কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। ব্যাংক সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, টোকিও, কানাগাওয়া, আইচি, ওসাকা, ফুকুওয়া এবং অন্য ১১টি স্থান থেকে ভোর ৫টা থেকে ৮টার মধ্যে ওই অর্থ তুলে নেয়া হয়। প্রতিবারে এক লাখ ইয়েন বা ৯০০ ডলার তুলেছে দুর্বৃত্তরা। এভাবে ১৪ হাজার ট্রানজেকশেনের ঘটনা ঘটে। একটি এটিএম বুথে নতুন কিছু ইনস্টল করতে গেলে জালিয়াতির ঘটনাটি ধরা পড়ে। পুলিশ ধারণা করছে, এই কাজে ১০০ জনেরও বেশি অংশ নেয় এবং তাদের একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এছাড়া দেশের বাইরে যাদের নামে ক্রেডিট কার্ড নিবন্ধিত ছিল সেগুলো ব্যবহার করেও অর্থ লোপাট করা হয়েছে। তবে নকল ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অর্থ লোপাটের ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২-১৩ সালে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে জাপানসহ ২০টি দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন ইয়েন তুলে নিয়েছিল জালিয়াত চক্র। ওই ঘটনার জন্য মালয়েশিয়ার একটি চক্রকে দায়ী করে জাপান পুলিশ তাদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশ এখন বুথগুলোর নিরাপত্তা ক্যামেরা পরীক্ষা করে চোরদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: