ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২৪ মে ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

আবার তিন দিনের ছুটির ফাঁদে রাজধানী। ফাঁদ শব্দটার ব্যবহার হয়ত শুনতে ভাল লাগবে না। একটু পরশ্রীকাতরতার মতোও মনে হতে পারে। কারণ সবার তো আর তিন দিনের ছুটি মিলছে না। আসলে তিন দিন না বলে চার দিন বলাই সঙ্গত। সোমবার শবে বরাতের ছুটি। তার আগে শুক্র-শনি সাপ্তাহিক বন্ধ। তাই মাঝখানের রবিবার কোন রকমে ম্যানেজ করতে পারলে পাক্কা চার দিনের ছুটিই পাওয়া যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে যাওয়ার এক সুবর্ণ সুযোগ। অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে। যদিও শুক্রবার বিকেলের ভিড় আর যানজট দেখে মনে হচ্ছিল না যে ঢাকাবাসীর বড় অংশ ঢাকা ছেড়েছেন। তবে সন্ধ্যার পর আটটা নয়টার দিকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট একেবারেই কমে গিয়েছিল। রাজধানীর কয়েকটি ব্যস্ত সড়ক অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। অবশ্য ঈদের ছুটিতে ঢাকা নগরচিত্রের সঙ্গে একে পুরোপুরি মেলানো ঠিক হবে না। তবে ঢাকা কিছুটা ফাঁকা হলে যে আরাম লাগে, সেকথা বলাইবাহুল্য। গত সপ্তাহের ঢাকা জীবনের সপ্রাণতার কিছু উদাহরণ রেখে গেছে। পাঠক, হয়ত বলবেন কোন সপ্তাহেই বা এর ব্যতিক্রম ঘটে। এক অর্থে দু’পক্ষের কথাই ঠিক। ঢাকাকে যে রূপে পাই ফি সপ্তাহ তাতে থাকে পুনরাবৃত্তির একঘেয়েমি। তবে আগে যা যা ঘটে গেছে তার সঙ্গে নতুন সংঘটিত প্রতিটি দিবারাত্রির কাব্যে রয়েছে কিছু না কিছু লক্ষ্যযোগ্য এবং তাৎপর্যময় নতুনত্ব। সে অর্থে রাজধানীর সাপ্তাহিক পরিক্রমা যত পুনরাবৃত্তিমূলক মনে হোক না কেন, তাতে থাকে টাটকা অভিনবত্ব। আর নিঃসন্দেহে কিছু নাটকীয়তা। ঢাকার যে হুড়োহুড়ি নাভিশ্বাস ছোটা এবং যানজটে স্থবির বসে থাকা; এবং হঠাৎ হঠাৎ যে তার প্রতিবাদে ঝলসে ওঠা, বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়া, রোদ্দুরে কাহিল দশা- সব যেন আগের ধরনে, তবু তাতে থাকে নতুন মুখরতার সৌন্দর্য। যানজটমুক্ত ঢাকা! এ ঈদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না! শুক্রবার রাত আটটার পরে তেজগাঁও থেকে ধানম-ি সাতাশ নম্বর পর্যন্ত সিএনজিতে আসা গেল দশ মিনিটে, মিটারে উঠল ছিয়াশি টাকা মাত্র। এর আধঘণ্টা পর উত্তরায় ফিরতে গিয়ে দেখি রাস্তায় অল্প কিছু পাবলিক বাস চলছে, প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও কমে এসেছে। অথচ যে কোন শুক্রবারে এই সময় বড় বড় সড়কের প্রতিটি সিগন্যাল পয়েন্টে দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। শুক্রবার রাতে যারা অল্পবিস্তর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি দেখে ঘুমোতে গিয়েছিলেন তাদের ঘুম ভেঙেছে ভারি বর্ষণের শব্দে। একটানা বিরামহীন বৃষ্টি। সাত দিনেই জ্যৈষ্ঠ ফুরিয়ে আষাঢ় চলে এলো নাকি! কিন্তু বেশিক্ষণ তো আর শহুরে মানুষের আসল খবর বিনা থাকার উপায় নেই। টিভি-সংবাদপত্র-ফেসবুক জানিয়ে দেবে কেন এই লাগাতার বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাব পড়েছে রাজধানীতে, তাই এই অবিরাম বর্ষণ। শনিবার সকাল থেকেই ঢাকায় যানচলাচল কম। ঢিলেঢালা হরতালচিত্র যেন সাবেক আমলের। শনিবারকে যানজটমুক্ত দিন বললে কি ভুল বলা হবে? অফিস টাইমের আগে ও পরে (এদিন বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি ছিল অনেকেরই, তাছাড়া সরকারি চাকুরেদের সাপ্তাহিক ছুটিও বটে) ঢাকার সবচাইতে ব্যস্ত সড়কে (ভিআইপি) লোকাল বাসও চলছে রেসের কারের মতো। সব ধরনের গাড়ির সংখ্যাই কম। সকালের দিকে না হয় ঝুম বৃষ্টি ছিল, বিকেলে যে রোদের ছড়াছড়ি। সন্ধেটা সত্যিই মনোরম, গ্রীষ্মের প্যাচপেচে গরম থেকে রেহাই পেয়েছে রাজধানী। মানুষ কি ঘুরে বেড়ানোর জন্য এমন সুযোগ হাতছাড়া করবে? ঈদ ছাড়া যে কোন শনিবারের ঢাকার সঙ্গে গত শনিবারের ঢাকাকে কোনক্রমেই মেলানো গেল না। সত্যি বলতে কি ঢাকায় বেড়ানোর জায়গাও যে সীমিত। শুধু রেস্টুরেন্টের ছড়াছড়ি। জাতীয় জাদুঘরে রবীন্দ্রনাথের আঁকা চিত্রকর্মের প্রদর্শনী চলছে। জাদুঘরের সাপ্তাহিক ছুটি বৃহস্পতিবার। নিশ্চিন্ত মনে গেলাম। দেখি তালা ঝুলছে। প্রধান ফটকের প্রহরী কিছুটা লজ্জিত স্বরেই জানালেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার জন্য আজ জাদুঘর বন্ধ। ভাবছিলাম ছুটির দিনগুলোতেই তো খোলা থাকবে জাদুঘরের মতো দর্শনীয় সব স্থান। ছিল জলজট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বর্ষায় ভিজেছিল ঢাকা টানা লম্বা সময়। শনিবার সন্ধে ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৫২ মিলিমিটার। জল তো আর ছুটিছাটা মানে না। তার ধর্মই গড়িয়ে চলা আর গর্তটর্ত পেলে সেখানেই থিতু হওয়া। রাজধানীর সড়কগুলো বর্ষার জল ধরে রাখার জন্য বেশ উপযোগী। তার দেহভর্তি গর্ত, খানাখন্দ। রাস্তার দু’পাশের নর্দমা উপচে সড়কের শতকরা পঁচিশ ভাগ জলমগ্ন হয়ে পড়া এখন নিত্য বর্ষার নিয়তি। সিটি করপোরেশনের খোঁড়াখুঁড়ির মচ্ছবও চলছে এখন। তার ওপর রাস্তার মাঝখানেও খানাখন্দের অভাব নেই। সব মিলিয়ে লবেজান এক পরিস্থিতি। তবে মালিবাগ-মৌচাক এলাকার জলজটের সঙ্গে আর কোন জায়গার জলজটের তুলনা চলে না। ফ্লাইওভার নির্মাণের মহাযজ্ঞে সেখানে জায়গায় জায়গায় রীতিমতো পুকুর। তাতে রিক্সা উল্টে পড়ে আরোহীদের বিপন্ন অবস্থা। আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কোথায় দূর সমুদ্রে হয়েছে ঘূর্ণিঝড়, আর রাজধানীর জলজটে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। কানে ধরা বনাম কান কাটা নীতিবর্জিত গডফাদারদের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে বরাবরই সোচ্চার ঢাকা। ঢাকার পড়শি শহর নারায়ণগঞ্জে একজন সংসদ সদস্যের হাতে একজন স্কুল শিক্ষকের লাঞ্ছিত হওয়ার পর গোটা দেশই প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। তবে ঢাকা যেহেতু দেশের রাজধানী, তাই তার প্রতিবাদের ধরনের থাকবে বিশেষ শক্তি ও মাত্রা, এটাই স্বাভাবিক। সাংসদ সেলিম ওসমান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করাতে বাধ্য করেছিলেন। তার আগে সুকৌশলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকদের ক্ষেপিয়ে তোলা হয় মসজিদের মাইকে এমন অপপ্রচার চালিয়ে যে তিনি ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করেছেন। ক্ষমতার দম্ভ ওই সাংসদের এতদূর যে তিনি ভেবেছিলেন ‘সামান্য’ এক শিক্ষককে অপমান করলে কী আর হবে? অথচ দেশের মানুষ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠল। ক্ষমতা আর অর্থ ব্যবহার করে ওই সাংসদ আত্মপক্ষ সমর্থনে নানা সব নাট্যদৃশ্যের জন্ম দিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তাদের সহজাত নৈতিকতা ও শুভবুদ্ধি থেকে একতাবদ্ধ হয়ে নানাভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে চলেছেন। নিজের দুই কান ধরে ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন হয়েছে ঢাকায় অনেক। শুধু রাজধানীবাসীর ভেতরেই নয় সারাদেশেই এ ধরনের প্রতিবাদের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উচ্চারিত হয়ে চলেছে। নিরপরাধ প্রতিবাদী মানুষেরা কেন নিজের কান ধরবেন। কান ধরার কথা তো অপরাধীর যিনি শিক্ষককে কানে ধরতে বাধ্য করেছেন। তাছাড়া সেলিম ওসমানদের মতো ব্যক্তিদের কি সাধারণ মানুষের স্বকান ধরে প্রতিবাদ জানানোর বিষয়টি সামান্যতম আলোড়ন জাগায়? নিশ্চয়ই এটিও মানুষ ভেবেছে। না ভাবলে কানে ধরানোর প্রতিবাদে নিজ কান ধরার প্রতিবাদটিতে নতুন মাত্রা এলো কিভাবে? শুক্রবার ছুটির দিনে রাজধানীতে ‘প্রতিবাদী জনতার’ ব্যানারে যে প্রতিবাদটি সংঘটিত হয় তাতে অংশগ্রহণকারীরা নিজের মুখে ওই সাংসদের প্রতিকৃতি সংবলিত মুখোশটি পরে নেন। ফলে তাদের কান ধরা হয়ে ওঠে শত সেলিম ওসমানেরই কান ধরা। এতে ব্যানারে লেখা প্রতিবাদী সেøাগানটিও ছিল অর্থপূর্ণÑ ‘জয় বাংলা সেøাগানে, কানে ধরবে ওসমানে’। খ্যাতিমান কার্টুনিস্ট শিশিরের আঁকা দুই কান কাটা লোকটির কার্টুনটিও শোভা পাচ্ছিল ব্যানারে। কার্টুনটি দেখে নিশ্চয়ই অনেকেরই সেই গল্পটি মনে পড়ে যাবে যে- গল্পে নির্লজ্জ এক অপরাধী গ্রামের রাস্তার মাঝখান দিয়ে সোজা হেঁটে চলে, কারণ তার লজ্জার কিছু নেই, অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তার দুই কানই কাটা পড়েছে। বিপদ ডেকে আনছে মুঠোফোন বহু মানুষের সাধারণ সচেতনতাকে চাপা দিচ্ছে মোবাইল ফোন। জানি না এই মুঠোফোন আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। সন্তান তার বেডরুম থেকে মাকে রান্নাঘরে টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে বলে তার ক্ষুধার কথা। কারণ গত সপ্তাহে এই মুঠোফোনের কারণে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেছে ঢাকায়। মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী। তাঁর এক হাতে ছিল ফোন, অন্য হাতে আইসক্রিম। কথা বলায় এতই মগ্ন ছিলেন যে ট্রেন আসার শব্দ বা তাঁকে সতর্ক করতে আশপাশের মানুষের চিৎকার কিছুই শুনতে পাননি তিনি। ছুটে আসা ওই ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর প্রাণ গেল। সাধারণ সচেতনতার অভাব যে কতটা মর্মান্তিক পরিণতি বয়ে আনতে পারে, গত মঙ্গলবার দুপুরের এই দুর্ঘটনা তারই একটি নিদর্শন। মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার হওয়ার সময় বা রেললাইনের পাশ দিয়ে চলাচল করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, যাঁরা মুঠোফোনে গান শুনতে শুনতে রেললাইনের পাশ দিয়ে চলাচল করেন, তাঁরাই বেশি দুর্ঘটনার শিকার হন। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে এসব খবর আসছে, কিন্তু লোকজনের সতর্কতা বাড়ছে এমন লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না। চলতি পথে বা এমনকি রাস্তা পার হওয়ার সময়ও অনেকে মুঠোফোনে কথা বলেন বা টেক্সট মেসেজ পাঠান। অনেকে ইন্টারনেটে মগ্ন থাকেন, ফেসবুক দেখেন। আবার অনেকে মোটরসাইকেল ও গাড়ি চালাতে চালাতেই মুঠোফোনে কথা বলেন। উন্নত বিশ্বে এজন্য দ- প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কারণ এগুলো খুব বিপজ্জনক। একটুখানি অসতর্কতাই প্রাণহানির কারণ হতে পারে। ফেসবুকে ঢাকার কড়চা এ পর্বে আমরা একটু ভিন্নদিকে দৃষ্টি দিচ্ছি। শিল্পীর সমাজ সচেতনতা এবং মানবিকতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে এই পোস্টে, আরও রয়েছে সামাজিক মানুষের সংস্কৃতি সংলগ্নতার অনিবার্যতার কথা। লিখেছেন তরুণ লেখক মোজাফফর হোসেন। পোস্টটির চুম্বক অংশ তুলে ধরছি: গ্যালারি টোয়েন্টি ওয়ানে কথা হচ্ছিল তরুণ ভাস্কর অসীম হালদারের সঙ্গে। তার শিল্পকর্মে গাছ ও মানুষের ফিগার ব্যবহারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, মানুষ ও প্রকৃতিকে উনি আলাদাভাবে দেখেন না। নগরজীবনে মানুষের বোধ ও চেতনায় প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনাই হলো তার শিল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি প্রকৃতিবাদী চেতনার সুতো ধরেই মানবতাবাদী চেতনায় পৌঁছাতে চান। এক ধরনের এ্যাক্টিভিজম অসীমের সমগ্র শিল্পকর্মে ফুটে ওঠে। গ্রামকে তিনি নগরজীবনে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজন বলে মনে করেন। রাজধানী থাকার কারণে আমি দুটো অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করি। এক. মঞ্চনাটক দেখা; দুই. চিত্রপ্রদর্শনী দেখা। ঢাকার বাইরে গেলে এ-দুটো বিষয় উপভোগ করতে পারব না। এ কারণে ঢাকার বাইরে থাকার আগ্রহ আমার নেই। আমাদের দেশের অনেক লেখককে বলতে শুনি: ‘মঞ্চনাটক/ চলচ্চিত্র/ এক্সিবিশন দেখার সময় কোথায়? এত এত পড়তে/লিখতে হয়!’ অন্যদিকে তারা সব ধরনের সাহিত্যানুষ্ঠানে কিন্তু যান। অর্থাৎ সময় থাকলেও চলচ্চিত্র/চিত্রকর্ম/মঞ্চ এগুলো নিজের শিল্পচর্চার সরাসরি ক্ষেত্র মনে করেন না বলে এসব অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন বা দায় অনুভব করেন না। বিশেষ করে চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে তো একদমই যান না। আমি আজ পর্যন্ত এত এত প্রদর্শনীতে গেলাম, পরিচিত কোন কবি-সাহিত্যিকের দেখা পেলাম না! ২২ মে ২০১৬ [email protected]
×