ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অগ্রগতির পথে-

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৪ মে ২০১৬

অগ্রগতির পথে-

সময় থমকে দাঁড়ায়নি বরং চলার সমস্ত শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে, অগ্রগতির পথে। নিম্ন আয়ের দেশটিকে ক্রমন্বয়ে মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যে কোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থানকে করেছেন অনেক সংহত। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে যে দেশটিকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা হতো, সেই দেশ আজ বিশ্বমাঝে স্বকীয়তা নিয়ে দ-ায়মান। পরিণত হয়েছে রোল মডেলে। স্বতন্ত্র উন্নয়ন পরিকল্পনা, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আর্থিক যোগান, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার আর মানবসম্পদ দক্ষ করে কাজে লাগানো- এগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। অগ্রগতির সড়কে এখন বাংলাদেশ প্রায় অপ্রতিহত গতিতে অগ্রসরমান। সরকারের সঙ্গে জনগণের আকাক্সক্ষার নিকট-সম্পর্ক এর পেছনে শক্তি যোগাচ্ছে। দূরদর্শী সরকারপ্রধানের গতিশীল নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে সব কার্যক্রম। একসময় যারা বক্রদৃষ্টিতে অবলোকন করতেন বাংলাদেশকে, তাদের দৃষ্টিতেই এখন রাজ্যের আগ্রহ এই বাংলাদেশকে নিয়ে। এর স্বীকৃতিও মিলছে। এই বাংলার কথা বলতে গিয়ে বিশ্বটাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল যে কণ্ঠস্বর, সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হতে যাচ্ছে দেশ। আর তার নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের অন্যতম জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ ১৬ কোটিতে পরিণত। এই মানুষদের বিশ্বমাঝে তিনি উন্নত জাতিতে পরিণত করতে আপ্রাণ সচেষ্ট। এ কেবলই নেত্রীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব, গভীর জীবনবোধ, দেশ ও মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালবাসা, দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও উন্নয়নে গভীর প্রত্যয়েরই ফল। ঘটনার পরিক্রমায় সাধারণ জীবনযাপন থেকে আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর একক নেতৃত্বেই দেশের উন্নয়ন করেছেন ত্বরান্বিত। দেশ ও বিশ্ব পরিম-লে তিনি আজ গণতন্ত্র, উন্নয়ন; ন্যায়বিচার ও শান্তির প্রতীক। তারই নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতিসংঘে অনেক প্রস্তাবই আনে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবকল্যাণ, টেকসই উন্নয়ন এবং সকল জাতিসত্তার অব্যাহত উন্নয়ন ও মুক্তি। মানব উন্নয়ন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু কম আয় সত্ত্বেও গত তিন দশকে গড় আয়ু, মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের মতো সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত দেশটি তাঁর নেতৃত্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করে টিকে থাকার লড়াইয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বলেই জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা পেয়েছেন। প্রতিভার স্বীকৃতিপ্রাপ্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী নিজের নেতৃত্ব ও বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে মেলে ধরেছেন শেখ হাসিনাই। তাঁরই নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বশান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। দারিদ্র্যের খাঁচা থেকে বের হয়ে এসেছে দেশ। বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রবাহ, নানাক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের জন্য ক্রমান্বয়ে একটি মডেল হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। এমডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে দেশ এগোচ্ছে। দেশবিরোধী শক্তির চক্রান্তকে প্রতিমুহূর্তে রুখে দিচ্ছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে দেশকে অভিশাপমুক্ত করছেন। তাঁর অর্জন বিশাল, তাই তাঁকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট। বলেছেনও বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কাছ থেকে শিখতে পারে। এই প্রাপ্তি শুধু শেখ হাসিনার একার নয়। ষোলো কোটি বাঙালীর। যারা তাঁর নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। তাঁর এগিয়ে যাবার পথকে কণ্টকমুক্ত করা আজ জরুরী জাতির জন্যই। শেখ হাসিনার গৌরবান্বিত হওয়া মূলত পুরো জাতির জন্যই গৌরবের।
×