ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত পবিত্র শবেবরাত

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ২৩ মে ২০১৬

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত পবিত্র শবেবরাত

অনলাইন রিপোর্টার॥ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রবিবার মহিমান্বিত রাত শবে বরাত পালিত হয়েছে। সারা দেশে মসজিদে বা ঘরে রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করছেন মুসুল্লিরা। অনেকে দিনের বেলা রোজাও রেখেছিলেন। অনেকে মসজিদের বাইরে বসে থাকা গরিব-অসহায় মানুষদের সহায়তাও করেছেন। মহিমান্বিত এই রাতে সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন ছিলেন। জীবনের পাপ মার্জনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি হরেক রকমের হালুয়া, ফিরনি, রুটিসহ উপাদেয় খাবার তৈরি হয়েছে। এসব খাবার বিতরণ করা হয় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে। সন্ধ্যার পরে অনেকে কবরস্থানে গিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত আপনজনদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিজগতে এক বস্তুর ওপর অন্য বস্তুকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। স্থান হিসেবে মক্কা-মদিনা অন্যান্য স্থান থেকে শ্রেষ্ঠ। কুপের মধ্যে জমজম সর্বশ্রেষ্ঠ। সাপ্তাহিক দিনের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ। মাসের মধ্যে রমজান সর্বশ্রেষ্ঠ। রাতের মধ্যে লাইলাতুল কদর শ্রেষ্ঠ। ঠিক তেমনি শবেবরাত অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ রাত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতই আমাদের কাছে শবেবরাত হিসেবে পরিচিত। আরবিতে একে বলা হয় লাইলাতুল বারাআত। ফারসি শব আর আরবি লাইলাতুন অর্থ রজনী, রাত। বারাআত অর্থ হলো মুক্তি, পরিত্রাণ। তাহলে অর্থ দাঁড়ায় পরিত্রাণের রজনী। যেহেতু হাদিস শরিফে বারবার বিবৃত হয়েছে যে এই রাতে আল্লাহ মুসলমানদের মাগফিরাত বা গুনাহ থেকে পরিত্রাণ দেন, তাই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল বারাআত বা শবেবরাত। হাদিসের পরিভাষায় এই রাতের নাম হলো লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান বা মধ্য শাবানের রাত।
×