ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অভিষেক ভাষণে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট

চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক সংলাপ চাই

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২১ মে ২০১৬

চীনের সঙ্গে ঐতিহাসিক  সংলাপ চাই

তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন শুক্রবার তার বহু কাক্সিক্ষত অভিষেক ভাষণে চীনের সঙ্গে ইতিবাচক সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান বৈরিতার মুখে তিনি আপোসের সুরে এ আহ্বান জানান। খবর বিবিসি ও এএফপি’র। শপথ গ্রহণের পর তাইপেতে প্রেসিডেন্টের দফতরের বাইরে দেয়া ভাষণে তিনি বলেন, এ প্রণালীর দুই পক্ষের বৈরিতার ইতিহাস ভুলে গিয়ে উভয় দেশের জনগণের স্বার্থে অবশ্যই ইতিবাচক সংলাপের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশটিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ওয়েন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়েনের অভিষেকের কিছু সময় পরই তার নয়া সরকার প্রধানমন্ত্রী লি চুয়ানের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করে। অভিষেকের পর ওয়েন বলেন, চীনের সঙ্গে চলমান সম্পর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন তিনি। তবে বেজিংকেও তাইওয়ানের গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। তাইওয়ানে ১৬ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫৯ বছর বয়সী নয়া প্রেসিডেন্ট ওয়েন ওই নির্বাচনে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কুয়োমিনতাং (কেএমটি) দলের প্রার্থী এরিক চুকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেন। তিনি পেয়েছিলেন ৩১ শতাংশ ভোট। তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে চীন এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার হুমকি দিয়ে রেখেছে। তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থী হিসেবে পরিচিত ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ওয়েন। এর আগে ডিপিপি’র চেন শুই বিয়ান প্রথমবারের মতো তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তার মেয়াদকালে চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্কে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। ওয়েন হলেন ডিপিপির দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট।
×