ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চাল রফতানির বাজার খুঁজছি ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ মে ২০১৬

চাল রফতানির বাজার খুঁজছি ॥ তোফায়েল

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে যখন সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল তখন এখানে খাদ্যের অভাব ছিল। এখন ১৬ কোটি মানুষ, এরপরও দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই। এখন আমরা দেশের চাহিদা মিটিয়ে উল্টো চাল রফতানি করার জন্য বাজার খুঁজছি। শুক্রবার দুপুরে লায়ন জেলা ৩১৫-বি ৪-এর ১৯তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে লায়ন ক্লাব চট্টগ্রাম জেলা এ সম্মেলনের আয়োজন করে। মন্ত্রী বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি বাজার খুঁজছি কোথায় আমাদের চাল রফতানি করা যায়। সুগন্ধি চাল প্রতিদিনই ৫ হাজার, ১০ হাজার টন রফতানি হচ্ছে। সাধারণ চাল রফতানি করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, এক সময় যে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট ছিল মাত্র ৩০০ মিলিয়ন ডলার। সেই বাংলাদেশের এখন ৩৫ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট হয়। এবার আমাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। কিন্তু আমাদের অর্জন হবে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। দিন দিন বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। ২০২১ সালে শুধু গার্মেন্টস সেক্টর থেকে রফতানি আয় হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। তোফায়েল আহমেদ বলেন, এক সময় যারা বাংলাদেশকে বটমলেস বাস্কেট বলেছে, যারা বলেছিল বাংলাদেশ হবে গরিব রাষ্ট্রগুলোর মডেল, আজ তারা বলে বাংলাদেশ হচ্ছে বিস্ময়কর উত্থান। নোবেলজয়ী অর্মত্য সেন বলেছেন, উন্নয়নের দিক থেকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭৬ শতাংশ। এখন ১৫ শতাংশ। শিল্পের অবদান ৩০ শতাংশ। সার্ভিস সেক্টরের অবদান ৫০ শতাংশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। ২০১৩, ২০১৪ সালে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরে তিনি সম্মেলনের স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। লায়ন্স ক্লাব চট্টগ্রাম জেলা গবর্নর মোস্তাক হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লায়ন্স ক্লাবের সাবেক ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর শেখ কবির হোসেন, ডিরেক্টর এনড্রোসি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, মাল্টিপল কাউন্সিল চেয়ারপার্সন ইঞ্জিনিয়ার এমএ আউয়াল, সদ্য প্রাক্তন জেলা গবর্নর সিরাজুল হক আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×