ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামে কুতুবদিয়া দ্বীপ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২১ মে ২০১৬

চট্টগ্রামে কুতুবদিয়া দ্বীপ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে অব্যাহত ভাঙ্গনে কুতুবদিয়া দ্বীপের আয়তন বর্তমানে এক-পঞ্চমাংশে এসে পৌঁছেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সাগরকন্যা খ্যাত এ দ্বীপকে রক্ষায় সরকারের কার্যকর জরুরী উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে অদূর ভবিষ্যতে এটি সাগরগর্ভে তলিয়ে যাবে। দ্বীপটি রক্ষায় এবং এর উন্নয়নে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে কুতুবদিয়া উন্নয়ন ফোরাম নামের একটি সংগঠন। যার মধ্যে রয়েছে দ্বীপের চারপাশে স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ মেরামত ও সংস্কার, বেড়িবাঁধের ভেতরে ও বাইরে বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ ও নতুন বাগান সৃজন, জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে বিদ্যুত সংযোগ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং দ্বীপটিকে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা এবং যাতায়াতের সুবিধা উন্নত করা। শুক্রবার সকালে কুতুবদিয়া উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এরপরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মোঃ কাইমুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন মোঃ সফিউল আলম কুতুবী, প্রফেসর ড. কামাল হোসেন, মোয়াজ্জেমুল হক, মজিবুল হক সিদ্দিকী বাচ্চু, শাহজাদা মনিরুল মান্নান, ফোরামের পক্ষে মোঃ তাজ উদ্দিন, প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসাইন, সরোয়ার আলম, মোঃ আজম। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম থেকে ৪৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে এবং কক্সবাজার থেকে ৩৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে কুতুবদিয়া দ্বীপের অবস্থান। এটি কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে একটি। গোড়াপত্তনের লগ্নে এটির আয়তন ছিল ৯৭ বর্গমাইল। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও সাগরের উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে প্রতিনিয়ত ভাঙ্গনে এটির আয়তন ২০ বর্গমাইলে এসে পৌঁছেছে। দ্বীপটির লোকসংখ্যা দেড় লক্ষাধিক। আয়তনে ছোট হলেও দ্বীপটি প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন শিল্পের জন্য অপার সম্ভাবনার। সঙ্গত কারণে দ্বীপটি রক্ষায় সরকারের জরুরী দৃষ্টি প্রয়োজন। সরকার ইচ্ছা করলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দ্বীপের চারপাশে প্রায় ৪১ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ সংস্কার ও মেরামতের জন্য সিদ্ধান্ত দিতে পারে। সাংবাদিক সম্মেলনে কুতুবদিয়া দ্বীপের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×