ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মেরিলিন মনরো ॥ বিশ্ব মাতানো অভিনেত্রী

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ২০ মে ২০১৬

মেরিলিন মনরো ॥ বিশ্ব মাতানো অভিনেত্রী

(পূর্ব প্রকাশের পর) ১৯৪৮ সালে এসে ২০ঃয ঈবহঃঁৎু-ঋড়ী স্টুডিও মনরোর সাথে চুক্তি নবায়ন করেনি। এই কারণে মনরো চুক্তিবদ্ধ হন ঈড়ষঁসনরধ চরপঃঁৎবং এর সঙ্গে। এক সময় ঈড়ষঁসনরধ চরপঃঁৎবং মনরোর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তাই বাধ্য হয়ে ১৯৪৯ সালে আবার মডেলিং এ ফিরে আসতে হয় মনরোকে। মডেলিং এ ফিরে এসেই ভিন্নভাবে নিজেকে সকলের সামনে তুলে ধরেন মনরো। একটি ম্যাগাজিনের জন্য নুড হন মনরো। সে সময়ের অখ্যাত এবং বর্তমান সময়ের বিখ্যাত এই ম্যাগাজিনটির নাম ‘প্লে-বয়’। মেরিলিন মনরোই চষধুনড়ু’ং ভরৎংঃ ‘ঝবিবঃযবধৎঃ ড়ভ ঃযব গড়হঃয।’ ১৯৫২ সালে আজকের বিখ্যাত প্লে-বয় ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যার কাভারে সম্পূর্ণ উন্মুক্তভাবে নিজেকে মেলে ধরেন মেরিলিন মনরো গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে হৈ চৈ ফেলে দেন। নগ্নতাকে প্রতিষ্ঠিত করেন শিল্পে। তার ছবি কভারে ছাপার মাধ্যমেই সেক্স-ম্যাগাজিন হিসেবে প্লে-বয় সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ সালের কোল্ড ওয়ারে কিউবায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সময় জন এফ কেনেডির একজন ঘনিষ্ঠজন হিসেবে কাজ করেন মনরো। সৌন্দর্য আর রহস্যময় হাসির অধিকারী মনরো আরও একটি গুণের জন্য পরিচিত সবার কাছেই। সেটি হলো তার সঙ্গীত প্রতিভা। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির জন্মদিনে গাওয়া ‘হ্যাপি বার্থডে মি. প্রেসিডেন্ট’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। এ ছাড়া তার গাওয়া ‘মাই হার্ট বিলংস টু ড্যাডি, ‘আই ওননা বি লাভ বাই ইউ’ এবং ‘ডায়মন্ডস আর এ গার্লস বেস্ট ফ্রেন্ডস’ গানগুলোও জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। খুব বেশিদিন পৃথিবীর বুকে বেঁচে থাকতে পারেননি মেরিলিন মনরো। ১৯৬২ সালের ৫ আগস্ট ৩৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এই খ্যাতিমান অভিনেত্রী। তবে তার মৃত্যু নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। লস এঞ্জেলসের যে বাড়িতে মনরো মারা যান সেখানে তার বিছানার পাশে ঘুমের ওষুধ এর খালি বোতল পাওয়া গিয়েছিল। বলা হয় অতিমাত্রায় ড্রাগ সেবনের কারণে তিনি মারা যান। মনরোর মৃত্যু তার হাসির মতোই এক রহস্য হয়ে আছে মানুষের কাছে। সবার কাছে আত্মহত্যা হলেও কেউ কেউ মনে করেন, এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যা। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তার মৃত্যুরহস্য চাপা পড়ে যায়। কিংবদন্তি অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর একটি ভাস্কর্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে। দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ ছবিতে মনরোর পরনের স্কার্ট উড়ে যাওয়ার সেই বিখ্যাত ভঙ্গিটি ভাস্কর্যটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ ছবিটিতে মনরোকে সাদা রঙের একটি স্কার্ট পড়ে সাবওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। ঠিক সেসময় সাবওয়েতে বয়ে যাওয়া বাতাসে বেসামাল হয়ে পড়া স্কার্ট সোমলাতে মনরো যখন ব্যস্ত ঠিক তখনই ক্যামেরার সাটার টিপেছিলেন কোন চিত্রশিল্পী। ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়া দৃশ্যটি এখনও মানুষের মনে সমান আবেদন ধরে রেখেছে। সেই ছবির ভিত্তিতেই শিকাগোর ম্যাগনিফিসেন্ট মাইলে স্থান পেয়েছে ভাস্কর সিইয়ার্ড জনসন নির্মিত আইকনিক পোজটির হুবহু ভাস্কর্য। যার নাম ফরএভার মনরো। অপরাজিতা ডেস্ক
×