ইংল্যান্ডের প্রকাশনীগুলো থেকে প্রতিবছর প্রচুর বই প্রকাশিত হচ্ছে। এসব বইগুলোর শতকরা ৯৫ ভাগ ইংরেজী ভাষায় রচিত। কোনটা গল্পের, কোনটা উপন্যাস আবার কোনটা কবিতার। এসব প্রকাশিত বইয়ের অনেকগুলোই থাকে আবার অন্য ভাষা থেকে ইংরেজী ভাষায় অনুবাদ। যেমন বর্তমানে ইংল্যান্ডের বাজারে স্প্যানিস লেখক এলেনা ফেরেন্টি, জাপানী হারুকি মুরাকামি, নরওয়েজিয়ান কার্ল ওভি কানুসগার্দ এর লেখার ব্যাপক চাহিদা। এরা মূলত ইংরেজী ভাষার লেখক নন। তবে ইংল্যান্ডের বাজারে এদের বই বেস্ট সেলিংয়ের মর্যাদা পাচ্ছে চলতি সময়ে। এ বইগুলোর সবগুলোই অনুবাদ।
ইংল্যান্ডের প্রকাশনী সংস্থা নেলিসন বুকের তত্ত্বাবধানে সম্প্রতি এক গবেষণা হয়েছে। এ গবেষণার বিষয় ছিল ইংল্যান্ডের বাজারে বর্তমানে কোন বইগুলোর কাটতি বেশি। গবেষণার ফলাফলে এসেছে, মৌলিক ইংরেজী বইগুলোর চেয়ে অনুবাদ বইগুলোর চাহিদা বেড়েছে এখানে। আর এ হিসাব শুধু বিগত কয়েক বছরের নয়। গত ১৫ বছরের হিসাব টানা হয়েছে এ গবেষণায়। গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে ইংল্যান্ডের বাজারে টপ র্যাংকে থাকা বইয়ের ২৫ ভাগই অনুবাদ।
ম্যান বুকার ইন্টারন্যাশনালের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০০১ সালে মৌলিক ইংরেজী সাহিত্য বই গড়ে বিক্রি হয়েছে ১১৫৩ কপি। অন্যদিকে অনুবাদের কপি বিক্রি হয়েছিল ৪৮২ কপি। তবে ২০১৫ সালে এসে দৃশ্যপট সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। অনুবাদ বইয়ের প্রকাশ ও বিক্রি বেড়ে গেছে দ্বিগুণ। গড়ে মাত্র ২৬৩ কপি মৌলিক ইংরেজী বই বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে অনুবাদের বই বিক্রি হয়েছে ৫৩১ কপি।
এ বছর ম্যান বুকার প্রাইজও পেয়েছে অনুবাদ করা উপন্যাস হ্যান ক্যান দ্য ভেজেটেরিয়ান নামের বইটি। বইটির লেখক ছিলেন দেবরাহ স্মিথ।
২০১৫ সালের বেস্ট সেলিং বই (অনুবাদ)
১. মাই ব্রিলিয়ান্ট ফ্রেন্ড লিখেছেন এলেনা ফেরান্টে (১০৮, ৯৬৯ কপি)
২. দ্য ট্রুথ এ্যাবাউট দ্য হ্যেরি কিউব্রেট এ্যাফেয়ার লিখেছেন জয়েল ডিকার (৮৭,০০২)
৩. লুক হুজ’স বেক লিখেছেন তিমুর ভারমেস (৬৮,৪৬১)
৪. দ্য এ্যালকেমিস্ট লিখেছেন পাউলো কোয়েলো (১১৪,৪৩০ কপি)
৫. সাংহাই বেবি লিখেছেন ওয়েই হেই (৫৪,১১০)
৬. অটোমিসড লিখেছেন মিশেল হয়োলিবেক (৫১,৩২৩)
-টুটুল মাহফুজ