বিশ্ব যদি এখনই কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি তিন সেকেন্ডে একজনকে মেরে ফেলবে সুপারবাগ। জীবাণুর ক্রমবর্ধমান এ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠা মোকাবেলায় এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাপী সুদূরপ্রসারী পরিবর্তনে সম্মত না হলে সাধারণ ব্যাধিই ঘাতকব্যাধিতে পরিণত হবে। এর ফলে ওই সময়ের মধ্যে এক কোটি লোক মারা যাবে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ হুঁশিয়ারি করা হয়েছে। খবর এএফপি ও বিবিসির।
সুপারবাগ হচ্ছে এমন একটি ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু যার বিরুদ্ধে কোন এ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। সংক্রমণ বিদ্যমান ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় সুপারবাগের উত্থান ঠেকাতে ব্রিটিশ সরকারের অনুমোদনে রিভিউ অন এ্যান্টিমাইক্রোবায়ল রেসিস্টেন্স কমিটি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এর ফলে সামান্য আঘাত ও সাধারণ সংক্রমণও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। সুপারবাগকে প্রতিরোধী ওষুধের জন্য নেয়া বৈশ্বিক পরিকল্পনায় কয়েক শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ দরকার। বৈশ্বিক এ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপারবাগ থেকে বাঁচাতে বর্তমানে এ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। পাশাপাশি মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান ওষুধ ব্যবহার করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পদ্ধতি খুব দ্রুত অকার্যকর হয়ে পড়ছে। আর এ পরিস্থিতিকে সন্ত্রাসবাদের মতো বড় ধরনের ঝুঁকি বলে অভিহিত করা হয়েছে। সমস্য হলো নতুন কোন এ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হয়নি এবং আমাদের যে এ্যান্টিবায়োটিকগুলো আছে তাও আমরা নষ্ট করে ফেলছি। ২০১৪ সালে এ্যান্টিবায়োটিকজনিত রোগ প্রতিরোধ বিষয়টি পর্যালোচনা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি মানুষ এমন সংক্রমণে মারা গেছে। ওই সময় চিকিৎসকরা এমন একটি ব্যাক্টেরিয়া আবিষ্কার করেন, যেটি সংক্রমণ চিকিৎসার সর্বশেষ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত এ্যান্টিবায়োটিক কোলিস্টিনও অকার্যকর হয়ে পড়ে।