ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি ॥ তদন্তের সময়ও লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২০ মে ২০১৬

বাগেরহাটে শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি ॥ তদন্তের সময়ও লাঞ্ছিত

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সহকারী শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালে বহিরাগতরা লাঞ্ছিত করেছে অভিযোগকারী শিক্ষিকাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসপি বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যখন সহকারী শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত চলছিল তখনই এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মানুনুর রশিদ ও মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ তদন্ত কার্যক্রম বন্ধ করে সহকারী শিক্ষিকাকে পালিয়ে আত্মরক্ষার পরামর্শ দেন। ঘটনার শিকার সেই শিক্ষিকা বলেন, তদন্ত চলাকালে কতিপয় ভাড়াটে ক্যাডার সাবেক দুই ছাত্র নেতার নেতৃত্বে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পক্ষ হয়ে আমাকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মোবাইল ফোন দিয়ে কিছু ছবি তুলে নেয় এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমার স্বামীকে খবর দিয়ে বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে তদন্ত স্থগিত করা হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনার শিকার সেই শিক্ষিকা লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। খুব দ্রুতই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত রবিবার ১১৪নং এসপি বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তার সহকর্মী শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উদ্যোগে আজ (বৃহস্পতিবার) ঘটনার তদন্ত চলছিল। স্পর্শকাতর এই ঘটনায় গত ৫দিনেও কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় বিষয়টি ক্রমশ জটিল হচ্ছে এবং নিরাপত্তহীনতায় পড়েছেন সেই সহকারী শিক্ষিকা।
×