ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

-সঞ্জয় রায়

বাংলা গানের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১৯ মে ২০১৬

বাংলা গানের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে

‘কিন্নরকণ্ঠী’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলুন। সঞ্জয় রায় : অনুষ্ঠানের শিরোনাম রাখা হয়েছে গানের চয়নের একটি শব্দ দিয়ে। পঞ্চগীতিকবির পাশাপাশি তাঁদেরই ভাবধারায় আধুনিক বাংলা গান রচনায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন হীরেণ বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অজয় ভট্টাচার্য, সুবোধ পুরোকায়স্থ, শৈলেন রায়, মোহিনী চৌধুরী প্রমুখ। সেই ধারাবাহিকতায় এই সময়ের গীতিকবি বর্তমান রাষ্ট্রতির সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম। অসাধারণ গান রচনা করেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর গানের ১৬টি সিডি বেরিয়েছে। আমি তাঁর বেশ কিছু গানের সুরারোপ করেছি। এর থেকে ২০টি গান নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘কিন্নরকণ্ঠী’ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানটি কিভাবে সাজানো হয়েছে? সঞ্জয় রায় : এতে গান করবে আমার সংগঠন গীতিসত্রের শিল্পীরা। এতে তিনটি থাকবে সম্মেলক এবং বাকি ১৭টি একক গান। এরমধ্যে অতিথি শিল্পী থাকবেন অনিমা মুক্তি গোমেজ। বাংলাদেশ সঙ্গীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত দর্শনীর বিনিময়ে নিয়মিত আসরের অংশ এই অনুষ্ঠান। আমাদের দেশে বাংলা গানের অবস্থা কেমন মনে হয়? সঞ্জয় রায় : এর উত্তরটা শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে দ্বিধা নেই যে, গানের দিক থেকে আমরা খুব বেশি ভাল নেই। কোন এক সময়ে পঞ্চগীতিকবির পাশাপাশি অনেকে আধুনিক বাংলা গান নিয়ে কাজ করেছেন। সে সব শিল্পীর পঞ্চকবিও প্রশংসা করেছেন। তাদের ভাবধারায় এখন আর গান হচ্ছে না। বলা যায়, বাংলা গানের ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এখন বেশিরভাগ গীতিকবি পাশ্চাত্য গান বা পুরনো গানের কাটপিচ এবং হাল্কা রুচির শব্দ দিয়ে গান রচনা করছেন। আর এখন যারা সুর করেন তাদের বেশিরভার গান শুনলে মনে হয় আগে ওটাই শুনেছি। গানের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় পাশ্চাত্যের অন্ধ অনুকরণ। আমাদের দেশে কিন্তু ভাল ভাল শিল্পী আছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাতারাতি শিল্পী হওয়ার প্রবণতা বেশি। কিভাবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে গাওয়া যায় বা ক্যাসেট বের কার যায় এটা নিয়েই দৌড়াদৌড়ি করেন। কিছু দিনের মধ্যেই হারিয়ে যাচ্ছেন তারা। গান চর্চার গতি এখন কমে এসেছে। এ ক্ষেত্রে ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম কেমন? সঞ্জয় রায় : এ সময়ের গীতিকবিদের মধ্যে ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম অনন্য। মৌলিক ভাবধারাকে অক্ষুণ্ন রেখে তিনি গান রচনা করেন। এ সময়ের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীরাও তাঁর গান কণ্ঠে ধারণ করছেন। রাগের বিষয়কে ঠিক রেখে এসব গান দিয়ে আমাদের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব। এসব গানের মধ্যে ধ্রুপদী গানের ছায়া পাওয়া যায়। সঙ্গীত নিয়ে আপনার আগামী পরিকল্পনা কি? সঞ্জয় রায় : এ বছরই ঢাকাতে দুটি বড় অনুষ্ঠান করতে চাই। এর একটি হলো রবীন্দ্র মৃত্যুবার্ষিকী (২২ শ্রাবণ) এবং অন্যটি শচীন দেব বর্মণের গান নিয়ে এক আয়োজন (১অক্টোবর)। গৌতম পা-ে
×