ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৯ মে ২০১৬

আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার॥ আবাসন খাতে কালো টাকা বিনিয়োগে আসছে বাজেটে সুস্পষ্ট নির্দেশনা চান ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ফ্ল্যাট ক্রয়ে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হয়রানির কারণে সে সুবিধা পাননি তারা। তবে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের আর কোন সুযোগ দেয়ার পক্ষে নন অর্থনীতিবিদরা। এক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ তহবিল বাড়াতে থোক বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ তাদের। দেশের আবাসন খাতে ফ্ল্যাট ও প্লট নিবন্ধনে একজন গ্রাহককে বর্তমানে গুনতে হচ্ছে মোট খরচের ১৪ শতাংশ কর। যার মধ্যে রয়েছে ৪ শতাংশ গেইন ট্যাক্স, ৩ শতাংশ স্ট্যাম্প ফি, ২ শতাংশ নিবন্ধন ফি, স্থানীয় সরকার কর ও মূল্য সংযোজন কর। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি করের বোঝা নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে আবাসন শিল্পে। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে অবিক্রীত ফ্ল্যাটের সংখ্যা। অবস্থা পরিবর্তনে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ১০ শতাংশ জরিমানার বিনিময়ে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দেয় সরকার। পরবর্তী ৩টি বাজেটেও বহাল রাখা হয়েছিল এ অধ্যাদেশ, তবে এর সুবিধা পেতে বেগ পেতে হচ্ছে বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের। রিহ্যাব-এর সহ-সভাপতি প্রকৌশলী সরদার মো. আমিন বলেন, ‘অপ্রদর্শিত অর্থ অন্তত আরও ৫ বছর প্রশ্নহীনভাবে ব্যবহার করতে দেয়া। ২০০৭ সালে ১৯ এর ‘বি’ ধারায় এটি ব্যবহার হতো।’ তবে আবাসন খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে নতুন কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অর্থনীতিবিদরা। তাদের পরামর্শ, ছোট ফ্ল্যাট ক্রয়ে সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি হাউজিং লোন নামে একটি তহবিল গঠন করার। তেলের দাম ৫০ ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস বছরের দ্বিতীয়ার্ধে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাকস। ২০১৭ সালের দিকে জ্বালানি তেলের দাম আরও স্থিতিশীল হবে বলেও পূর্বাভাস ব্যাংকটির। অথচ জ্বালানির উত্তোলন না কমা, অতিরিক্ত সরবরাহ এবং চাহিদা কমার কারণে গত কয়েকমাস আগে এ ব্যাংকের পূর্বাভাস ছিল, জ্বালানি তেলের দাম ২০ ডলারের নিচে নেমে আসবে। মূলত উত্তোলন কমানোর ব্যাপারে ওপেকভুক্ত দেশগুলো একমত হওয়ার পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে জ্বালানির দাম। জ্বালানির উত্তোলন না কমালে দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলেও মনে করছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার সৌদি আরবের হাতে যুক্তরাষ্ট্রের ১১৬ বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড যুক্তরাষ্ট্রের কত ডলারের ট্রেজারি বন্ড সৌদি আরবের হাতে আছে, সেই তথ্য ওয়াশিংটন প্রকাশ করেছে চার দশক গোপন রাখার পর। সিএনএন মানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের ট্রেজারি বন্ড রয়েছে সৌদি আরবের হাতে। এদিক দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বন্ড ক্রেতাদের মধ্যে ত্রয়োদশ অবস্থানে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বন্ডে এক ট্রিলিয়নের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে চীন ও জাপানের। সিএনএন মানি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বন্ডের বড় ক্রেতাদের অধিকাংশের তথ্য নিয়মিত প্রকাশ করলেও সত্তরের দশক থেকে সৌদি আরবের কেনা বন্ডের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করা হতো না। ভেনিজুয়েলা ও ইরাকসহ তেল রফতানিকারক ১৪টি দেশের একটি গ্রুপে সম্মিলিতভাবে তাদের ওই বিনিয়োগ দেখানো হতো। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট গত সোমবার দেশগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ আলাদাভাবে প্রকাশ করলে সেই গোপনীয়তার সমাপ্তি ঘটে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×