ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিদ্যুত উৎপাদন বন্ধ হয়ে যেতে পারে

কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রে পানি সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১৯ মে ২০১৬

কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রে পানি সঙ্কট

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৮ মে ॥ কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রে ভায়াবহ পানি সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। আর মাত্র ২ ফুট পানির স্তর নেমে গেলে কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাবে। কাপ্তাই বেসিং এলাকায় সহসা বৃষ্টিপাত না হলে পানির অভাবে বিদ্যুত উৎপাদন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দীর্ঘ খরার কারণে এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। ষাটের দশকে কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের পর ৮০ দশকে বিদ্যুত কেন্দ্র একবার এরূপ পানি সঙ্কটে পড়েছিল। অনাবৃষ্টির কারণে এবারও অনুরূপ পানি সঙ্কটে পড়েছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রে বিদ্যুত উৎপাদনের ৫টি ইউনিটে প্রতি সেকেন্ডে বর্ষার সময় ২৪২ মেগাওয়াট করে বিদ্যুত উৎপাদন হয়। শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় পানি কমে গেলে ধীরে ধীরে বিদ্যুত উৎপাদন কমে যায়। কাপ্তাই বাঁধে পানির উচ্চতা রয়েছে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০৯ এমএসএল। পানির এই স্তর ৬৬ এমএসএলে নেমে এলে কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দের ৫টি ইউনিটের মধ্যে কোনটি আর সচল থাকে না, ফলে আর বিদ্যুত উৎপাদন হয় না। এ বিষয়ে কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোঃ আবদুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে বিদ্যুত উৎপাদনের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আর মাত্র ২ ফুট পানির স্তর কমে গেলে কাপ্তাই জলবিদ্যুত কেন্দ্রের বিদ্যুত উৎপাদন স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বর্তমানে এই কেন্দ্রে মাত্র ৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হচ্ছে। এ সময়ে কাপ্তাই বাঁধে পানির স্তর থাকার কথা ৭৯ এমএসএল কিন্তু বর্তমানে (মঙ্গলবার সকাল) পর্যন্ত বাঁধে পানির স্তর রয়েছে মাত্র ৭০.৫৫ এমএসএল, যা ৬৮ এমএসএলে নেমে এলে বিদ্যুত ইউনিটগুলো আর সচল রাখা যাবে না বলে জানান। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৬৮ হাজার কিউসেক পানি ছেড়ে দিতে হয়েছে। বর্তমানে আবার খরার কারণে হ্রদ শুকিয়ে খা খা করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে কাপ্তাই হ্রদের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে পরিবেশবিদদের ধারণা। কাপ্তাই হ্রদকে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে বাঁচানোর জন্য হ্রদে ড্রেজিং করা একান্ত প্রয়োজন বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন। খুলনা মেডিক্যালকে বিশ্ববিদ্যালয় দাবিতে মানববন্ধন স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা মেডিক্যাল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে এক হাজার বেডে উন্নীতকরণসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দ্রুত চালুর দাবিতে বুধবার সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এ কর্মসূচীর আয়োজন করে। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে মহাসচিব শেখ মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় মানববন্ধনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার বহু মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেনÑ বিএমএ খুলনার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ, খুলনা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, উন্নয়ন কমিটির শাহীন জামাল পন, শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু প্রমুখ।
×