ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ফায়ার সার্ভিসের জন্য দুই শ’ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনছে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৮ মে ২০১৬

ফায়ার সার্ভিসের জন্য দুই শ’ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনছে  সরকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উন্নয়নে দুই শ’ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এসব যন্ত্রপাতি ভূমিকম্পের পর উদ্ধার কাজসহ নানা দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত হবে। সম্প্রতি ঘন ঘন দেশে ভূকম্পন অনুভূত হচ্ছে। ভূমিকম্পে ক্ষয়-ক্ষতি ও প্রাণহানির পরিমাণ কমিয়ে আনতেই সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। মঙ্গলবার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টাফ কলেজে ‘ভূমিকম্পে ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান। তিনি আরও জানান, বিল্ডিং কোড না মেনেই একের পর এক বহুতল ভবন নির্মিত হচ্ছে। এতে করে ভূমিকম্পে ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের তরফ থেকে রাজধানীতে ১১০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বা স্থাপনা ভাঙ্গার সুপারিশ করা হয়েছে। ভবনগুলো ভাঙ্গার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভূমিকম্পে ঝুঁকিমুক্ত হতে ধীরে ধীরে এসব স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এ বিষয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় আরও জানানো হয়, ঢাকাও ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ভূমিকম্পে ঢাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বাড়তি জনসংখ্যা ও অপরিকল্পিত নগরায়ন। যথাযথ বিধিবিধান মেনে স্থাপনা নির্মাণ করলে ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। ভূমিকম্প মোকাবেলা ও সাড়াদানে সক্ষমতা বাড়াতে ফায়ার সার্ভিস ইতোমধ্যেই ৯টি উদ্ধার টিম গঠন করেছে। যা আন্তর্জাতিক মানের। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণের সম্পৃক্ততা ও অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়মিত গণসংযোগ, মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা ৩১৪টি থেকে বাড়িয়ে ২০১৭ সাল নাগাদ ৫৫২টিতে উন্নিত করার কাজ চলছে। ২০১৫ সালে সারাদেশে প্রায় ৮৬ হাজার মানুষকে এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আরও ৬২ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এরমধ্যে ইতোমধ্যেই ৩২ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। অন্যদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ল্পনা, উন্নয়ন ও প্রক্ষণ বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হুসেন ও পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শানেওয়াজ বক্তব্য রাখেন।
×