ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে দশ দিনে ৮৭ এ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৮ মে ২০১৬

সিরাজগঞ্জে দশ দিনে ৮৭ এ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ উল্লাপাড়ায় এ্যানথ্রাক্স রোগে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ৪০ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর আগে ৬ মে কামারখন্দে ২৯ নারী-শিশু-পুরুষ এবং শাহজাদপুরে ৮ মে ১৮ জন আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট ৮৭ জন এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীরা স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, এ রোগে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি, শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। উল্লাপাড়ায় তড়কা রোগে আক্রান্ত পাঁচটি গরুর মাংস খেয়ে ৪০ ব্যক্তি এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রবিবার কয়ড়া সরাতলা গ্রামে আক্রান্তদের শনাক্ত করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে। ওই গ্রামে গত কয়েকদিনে ১৮টি গরু এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। মরা গরুগুলোকে গ্রামবাসী মাটির নিচে পুঁতে রেখেছে। ওই এলাকায় এ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঠপর্যায়ে কোন সহযোগিতা ছিল না। গ্রামবাসী জানায়, বিষয়টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগকে জানানোর পরও তারা গরুগুলোকে চিকিৎসা দিতে আসেনি। কিন্তু উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ শেখ এমএ মতিন বলছেন, জানামাত্রই সরাতলা গ্রামে গিয়ে যথাসময়ে গরুগুলোকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা যায়, দুই সপ্তাহে উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের সরাতলা গ্রামের আলী আহমেদ, শাহেদ আলী, আকছেদ আলী, হযরত আলী এবং ফজেল প্রামাণিকের পাঁটি গরু তড়কা রোগে আক্রান্ত হয়। গ্রামের লোকেরা ওই অসুস্থ গরু জবাই করে গোশত ভাগ করে নিয়ে খায়। কয়েকদিন পর যারা ওই অসুস্থ গরুর গোশত খেয়েছিল তাদের বেশিরভাগই এ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকা পড়ে ক্ষত ঘায়ের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে আক্রান্তরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিলেও তা না সারায় কয়েকজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার জন্য যায়। সে সময় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাদের এ্যানথ্রাক্স রোগ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুরো গ্রামে ওই রোগের আতঙ্ক বিরাজ করছে। উলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুকুমার সুর রায় জানান, আক্রান্তদের প্রাথমিকভাবে পাঁচ দিনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অন্য রোগীদের শনাক্তের কাজ চলছে। সিভিল সার্জন ডাঃ মহিদ মোঃ সাদেকুল ইসলাম জানান, এ রোগ নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। মীরসরাইয়ে শিশু ধর্ষিত স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মীরসরাই উপজেলার মগাদিয়া ইউনিয়নের সরকারটোলা গ্রামে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষিত হয়েছে। ঘটনার নয়দিন পর মঙ্গলবার ধর্ষক যযুষ্টি জলদাশের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির অভিভাবক। তবে ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী একটি মহল মেয়ের পরিবারকে চাপে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, গত ৯ মে জলদাশ বাড়ির কোকা জলদাশের ছেলে যযুষ্টি জলদাশ পাশের বাড়ির ৯ বছরের শিশুকে ফুসলে তার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটি আবুতোরাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। মেয়েটি পরে বিষয়টি তার মাকে অবহিত করে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় ধর্ষিত শিশুকে প্রথমে মিঠাছড়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করনো হয়। পরে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। মেয়েটির পিতা অভিযোগ এনে বলেন, এই ঘটনায় আমরা থানায় মামলা করতে চাইলে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোক মামলা করতে নিষেধ করে। তারা বলেন, তুমি গরিব মানুষ মামলা করে কি লাভ হবে, সামাজিকভাবে মীমাংসা করে দেব।
×