ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বাজেটে রাজস্ব আদায়ের উচ্চাশা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ১৮ মে ২০১৬

নতুন বাজেটে রাজস্ব আদায়ের উচ্চাশা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি থাকলেও আগামী বাজেটে প্রায় ২ লাখ ৪২ হাজার ৬৫২ কোটি টাকার উচ্চ প্রবৃদ্ধির রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভ্যাট থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আদায়ের প্রত্যাশা করা হলেও অর্থনীতিবিদদের মতে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে এ অর্থবছরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের মতে নতুন করের ক্ষেত্র নির্ধারণ, এনবিআরের প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর ফাঁকি রোধে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। অর্থনীতির আকার বাড়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে জাতীয় বাজেটের আকার। এবার বেশ আগেই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট হতে পারে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার। এই বড় বাজেটের ব্যয়ের যোগান দিতে এনবিআরের ওপর পড়ছে ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব সংগ্রহের ভার। অথচ চলতি অর্থবছর এনবিআরকে দেয়া ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে প্রথম নয় মাসে অর্জন মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদদের মতে, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো ও নতুন করের ক্ষেত্র তৈরি করতে না পারলে আগামী অর্থবছরেও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ব্যয়ের বাজেট অনুযায়ী প্রবৃদ্ধি ধরতে যেয়ে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বেশি করতেই হচ্ছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য খাত, ক্ষেত্র, করদাতার সংখ্যা বাড়ানো এই কাজগুলো করতে হবে। এর জন্য গবেষণা প্রয়োজন। এছাড়া আগামী অর্থবছরে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব বাড়ানোর চিন্তা করলেও ব্যবসায়ীদের বিরোধিতার কারণে এই আইন বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। অর্থনীতিবিদ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়েও অনেক ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। সার্বিকভাবে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ না ফেলে বাস্তবায়ন করা যাবে কি না, সেদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কিভাবে কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সক্ষমতা আরও বাড়াতে পারছি। আমাদের কর ফাঁকি দেয়ার যে প্রবণতা রয়েছে সেটা কতখানি কমাতে পারছি। চাল, ডাল, তেল মসলার মতো পণ্যের বাস্তবনির্ভর পরিসংখ্যান নেই দেশে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বাধীনতার ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল এবং মসলার মতো ভোগ্যপণ্যের কোন বাস্তব নির্ভর পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এসব খাদ্যসামগ্রীর কি পরিমাণ পণ্য দেশে উৎপাদন হচ্ছে কিংবা কি পরিমাণ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য কারও কাছ নেই। এ অবস্থায় আসন্ন বাজেটে পরিসংখ্যান প্রস্তুতের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য সামগ্রীর মধ্যে শুধু চাল ছাড়া ডাল, তেল, মসলাসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের অধিকাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
×