ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ক্ষতিকর উপাদানে তৈরী আইসক্রিমে

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১৭ মে ২০১৬

যশোরে ক্ষতিকর উপাদানে তৈরী আইসক্রিমে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ প্রায় ২০টি ফ্যাক্টরিতে আইসক্রিমের নামে ‘বিষ’ উৎপাদন করা হচ্ছে। নিম্নমানের ও ক্ষতিকর রং-উপকরণ মিশিয়ে সেখানে আইসক্রিম তৈরি করে হরহামেশাই বিক্রি করা হচ্ছে। এ আইসক্রিম প্রতিনিয়ত খাচ্ছে শিশু ও স্কুল শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণীর মানুষ। স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হওয়ায় যশোর জেলা প্রশাসন গত ৩০ দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কয়েকটি কারখানার মালিককে জরিমানা করেছে। জব্দ করেছে ক্ষতিকর উপকরণও। সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গোটা যশোর জেলায় ২০টিরও বেশি আইসক্রিম ফ্যাক্টরি রয়েছে। শীত মৌসুমের তিন মাস বাদে বছরের অন্য সময় এসব ফ্যাক্টরিতে আইসক্রিম উৎপাদন ও বিপণন করে থাকে। এসব কারখানায় ১ টাকা মূল্যের গাজর, পেপসি, লাল-সবুজ, ২-৩ টাকা দামের কুলফি, ৪/৫ টাকার চকবার কুলফি ও ১০/১২ টাকা দামের চকবার আইসক্রিম তৈরি করে। যশোরের বেশ কয়েকটি কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, সস্তা দামের এ আইসক্রিম তৈরিতে নিম্নমানের ফুড কালার ও অত্যন্ত ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, সাধারণত আইসক্রিম তৈরিতে দুধ, চিনি, ঘনচিনি, কর্ন ফ্লাওয়ার, স্টাবিলাইজার, ফ্লেভার, ফুড কালার ও পানি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে ১/২ টাকা দামের আইসক্রিমে যে ফুড কালার ব্যবহার করা হয়, তা খাদ্য বা আইসক্রিমে ব্যবহারের অনুমোদন আছে কিনা জানে না কেউ। ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানি করা এই ফুড কালারের কৌটায় বিএসটিআইয়ের এ ধরনের কোন নির্দেশনা নেই। শহরের গো-হাটা রোডের ৫টি দোকানে এই ফুড কালার বিক্রি হয়। ব্যবসায়ীকে উদ্ধারের দাবি স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ জলঢাকা উপজেলার ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা উত্তোলনের পর আরিফুজ্জামান ওরফে সুমন নামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়েছে। তাকে উদ্ধারের দাবি করে ওই ব্যবসায়ীর পরিবার সোমবার বেলা ১১টায় নীলফামারী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অপহরণকৃত ব্যবসায়ীর বাবা ডিমলা উপজেলার পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের আশাকুজ্জামান, মা ফরিদা বেগম, বড়ভাই হাসানুর রহমান ও আরিফুজ্জামান ওরফে সুমনের স্ত্রী ফাতেমা বেগমসহ দুই ছেলে-মেয়ে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়Ñ আরিফুজ্জামান ওরফে সুমনের ভুট্টার ব্যবসায় গাইবান্ধা থেকে ব্যবসায়ী পার্টনারের পাঠানো সাড়ে ৫ লাখ টাকা গত ৫ মে বিকেলে জলঢাকা ইসলামী ব্যাংক শাখা হতে উত্তোলনের পর নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ৬ মে প্রথমে জলঢাকা থানায় জিডি, এরপর তথ্যপ্রমাণসহ ১২ মে চারজনকে আসামি করে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হলো ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ির ইব্রাহিমের ছেলে ফেরদৌস আলম, জলঢাকা উপজেলার কাজিরহাট গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোজাম্মেল হক মোজা, একই উপজেলার দক্ষিণ চেরেঙ্গার তজর উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও ইব্রাহিমের ছেলে তারেক। কিন্তু আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। সম্মেলনে আসামিদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপহরণকৃত ব্যবসায়ী আরিফুজ্জামান ওরফে সুমনের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে দাবি করা হয়।
×