ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার উৎখাতের চক্রান্ত ॥ আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৬ মে ২০১৬

সরকার উৎখাতের চক্রান্ত ॥ আসলাম চৌধুরী গ্রেফতার

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ও গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে বাংলাদেশ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে। রবিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে ঢাকার খিলক্ষেতে তিন শ’ ফুট রাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ সময় গাড়িতে থাকা তার এক সহযোগী এবং চালককেও আটক করা হয়েছে। এর আগে আসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বিএনপির এই যুগ্মমহাসচিবের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। রবিবার সকালে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাকে পেলেই গ্রেফতার করা হবে’। এরপর পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলেই গ্রেফতার করা হয় বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে। চট্টগ্রামের নেতা আসলাম চৌধুরীকে মাসখানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্মমহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া। ইসরাইলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলামের একটি ছবি সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকে তা নিয়ে আলোচনা ও তোলপাড় শুরু হয়। আসলাম ইসরাইলী রাজনীতিক মেন্দির সঙ্গে ভারতে এক হওয়ার খবর অস্বীকার করেননি। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট খুলনার নাগরিক শিপন বসু। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন অত্যাচারের ভুয়া সচিত্র প্রতিবেদন তৈরি করে হস্তান্তরে সাহায্য করেছেন একজন বাংলাদেশের আদ্যাক্ষ ‘স’ নামের এক সাংবাদিক। আসলামের সঙ্গে ভারতে মেন্দি এন সাফাদির সেই সাক্ষাতের খবর ও ছবি প্রকাশিত হয় সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি পত্রিকায়। দিল্লীতে ডেল-আভিভ শীর্ষক ওই সম্মেলন এবং মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ফেসবুক পেজেও দেখা যায় তাদের একাধিক ছবি। লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ইসরাইলের বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী এম কে আয়ুব কারার সাবেক উপদেষ্টা। তিনি নিজের নামে মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস প্রতিষ্ঠানটি চালান। লিকুদ পার্টির নেতা মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর ছবিটি গত ১০ মার্চ মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনসের ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। ঢাকায় ফিলিস্তিনী চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স বিষয়টি জেনে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন হবে ‘রাজনৈতিক আত্মহত্যা’। তবে বিএনপি ইসরাইল কিংবা মোসাদের সঙ্গে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, আসলামের ওই সফর ছিল ‘ব্যক্তিগত’। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কহীন একটি দেশের রাজনীতিকের সঙ্গে বিএনপি নেতার বৈঠকের বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তিনি বলেন, আরও কারা এ বিষয়ে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করছি। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছেন। যারাই জড়িত থাকুক, সবাইকে খুঁজে বের করব। তারা কিভাবে জড়িত, কোন পর্যন্ত ক্ষতি করেছে, সব কিছু জানিয়ে দেব বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মোসাদ বিভিন্ন কায়দায় আমাদের এখানে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। যাদের নাম আসছে এখানে তাদের গতিবিধির ওপর আমরা নজরদারি করছি। তাদের সঙ্গে এখানে কারা কারা সম্পৃক্ত আছে সেগুলো আমাদের গোয়েন্দারা দেখছেন। বিএনপি যে দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেÑ তারই আরেকটা বহিঃপ্রকাশ এই যে মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্মমহাসচিবের বৈঠক বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বিএনপি যে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত এর যথেষ্ট প্রমাণ তাদের কাছে আছে এবং যা দিয়ে তারা বিএনপিকে নিষিদ্ধও করতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন নাগরিকের ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা বাণিজ্যিক কোন সম্পর্ক রাখাই দ-নীয় অপরাধ। আসলাম চৌধুরী চলতি বছরের ৫ মার্চ ভারতে গিয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। সেখানে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে যাওয়ার পর অন্য একজনের মাধ্যমে সাফাদির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তারা বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় একসঙ্গে ঘুরেছেন, খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আগ্রার মেয়র তাকে সংবর্ধনা জানান বলে আসালাম চৌধুরীর দাবি। তখন মেন্দি এন সাফাদিকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। সাফাদির সঙ্গে ছবি তোলার বিষয়টি স্বীকারও করেন আসলাম চৌধুরী। বিএনপির যুগ্মমহাসচিব আসলাম চৌধুরী ভারত সফরে গিয়ে আগ্রা ও দিল্লী এলাকায় ইসরাইলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড এ্যাডভোকেসির প্রধান ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবি প্রথমে ফেসবুকে প্রকাশিত হয়, যা পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ রিপোর্ট প্রকাশ হয়। ছবিতে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেছে মেন্দি এন সাফাদিকে। এক অনুষ্ঠানে তারা দুজন ফুলের মালাও গ্রহণ করেন। আরেক ছবিতে মেন্দি এন সাফাদি ও এক নারীকে ফুলের মালা পরা অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে তাদের পাশে হাসিমুখে অবস্থান করছেন আসলাম চৌধুরী। ইসরাইলের অনলাইন সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম অনলাইন ডটকমে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, সেখানে মেন্দি এন সাফাদি বলেছেন, শীঘ্রই সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরজা ইসরাইলীদের জন্য খুলে দেয়া হবে। নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা একটি নৈতিক দায়িত্ব। সেজন্য আমি এসব লোকের সহায়তার জন্য রয়েছি। বাংলাদেশে নির্যাতিত কাহিনীগুলো সত্যিকারের, প্যালেস্টাইনের মতো বানানো নয়। এখানে মানুষ নিপীড়িত হচ্ছে, কারণ তারা ভিন্নমতের। আমি গর্বিত যে, অনেক বাংলাদেশী ইসরাইলের প্রতি সহানুভূতিশীল। যদিও বাংলাদেশের নাগরিকদের পাসপোর্টেও লেখা থাকে, ইসরাইল ছাড়া সারাবিশ্বে তারা ভ্রমণ করতে পারবেÑ সেটাও আমি শীঘ্রই পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। কে এই আসলাম চৌধুরী ॥ চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ২০০৩ সালে জিয়া পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি কনফিডেন্স সিমেন্টের এ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিনি লায়ন্সেরও গবর্নর হন। ওয়ান-ইলেভেনে তিনি বিএনপির পক্ষে কাজ করেন। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পান। ২০০৯ সালে দলের জাতীয় কাউন্সিলের পর তিনি বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একপর্যায়ে আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। একজন ধণাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়ায় বিএনপির বিভিন্ন কর্মকা-ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন আসলাম চৌধুরী। এরই পুরস্কারস্বরূপ তাকে এবারের জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের যুগ্মমহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে, বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের কারণে বিএনপির যুগ্মমহাসচিবের পদ পেয়েছেন আসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রাম অফিস জানায়, ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার উৎখাত নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণকারী অভিযুক্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে যখনই যেখানে পাওয়া যাবে গ্রেফতার করার ঘোষণা দিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার। তিনি উল্লেখ করেছেন, ইতোমধ্যেই তার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সিএমপি সদর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিশেষ ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। সিএমপির ১৬ থানাকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ১৪৫ এসআইয়ের নেতৃত্বে ১৬ থানা এলাকায় বিট পুলিশ টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী আগস্টের মধ্যে এসব টিম কার্যক্রম শুরু করবে। এছাড়া সিএমপিতে একটি মিডিয়া সেলের উদ্বোধন করা হয়েছে। চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলে কক্সবাজার ও পার্বত্য জেলাগুলোতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে এদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নাগরিকত্বের সবকিছু রয়েছে। যার কারণে এদের চিহ্নিত করা কঠিন। সিএমপি কমিশনার প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, অপরাধীকে বাঁচাতে কোন ধরনের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করলে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনাই পুলিশের কাজ। নগরব্যাপী নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রত্যেক বাড়ির মালিককে বিট পুলিশিংয়ের কৌশল অনুযায়ী ভাড়াটিয়া সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে। প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার আলাদা আলাদা ফরম পূরণ করে বাড়ির মালিক থানায় জমা দেবেন। তিনি জানান, সিএমপির ডিসির (অপরাধ) দফতর থেকে নগরীর ১৬ থানাকে মনিটরিং করতে স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ডিসপ্লে লাগানো হয়েছে। নগরব্যাপী বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গাদের বসবাস রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয়ে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে সিএমপি কমিশনার বলেন, ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে শুরু করে পাসপোর্ট পর্যন্ত রয়েছে রোহিঙ্গাদের। ফলে এদের খুঁজে বের করা অনেক কঠিন। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি। যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এক্ষেত্রে বাড়িওয়ালা কোন ভাড়াটিয়া নতুন এলেই থানা থেকে ফরম সংগ্রহ করে তা পুনরায় পূরণ করে দেবেন। এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যত্যয় ঘটলে এবং কোন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধ দমন আইনে বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে নগরব্যাপী প্রত্যেক বিট কর্মকর্তা তথা এসআইয়ের আওতায় ৩ কনস্টেবলও কাজ করবেন। এসআই এবং কনস্টেবলের সমন্বয়ে গঠিত টিম নগরীর অপরাধ দমনে ও ডাটা বেইজড কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ করতে কাজ করবে। কোন ধরনের হয়রানির শিকার যদি নগরবাসী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণের মধ্য দিয়ে ওই বিটের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রদান করার সুযোগ রয়েছে। কোনভাবেই পুলিশ কর্তৃক নগরবাসী যেন হয়রানি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও গাড়িতে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার আগে থেকেই দ-নীয় অপরাধ ছিল। সম্প্রতি সময়ে বিশেষ করে মোটরসাইকেলে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করে পথচারীসহ পরিবহনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে বিকট আওয়াজের কারণে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে, গাড়িতে পুলিশ, সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সিটি কর্পোরেশন, বিভিন্ন সরকারী সংস্থার নামে গাড়িতে স্টিকার ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব স্টিকার গাড়ি থেকে নামিয়ে ফেলা বা ব্যবহার না করার বিষয়ে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। আগামীতে এ ধরনের অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশী চেকপোস্ট অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ নগরবাসীর কাছাকাছি গিয়ে কাজ করতে চায়। পুলিশ ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়ে তোলা সম্ভব। জনগণের জন্য পুলিশ। আবার পুলিশের জন্য জনগণÑ এ বিশ্বাস নিয়ে পুলিশই হবে জনতা আর জনতাই হবে পুলিশ। এমন ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপরাধ দমনের ঘোষণা দিলেন সিএমপি কমিশনার মোঃ ইকবাল বাহার। পুলিশ ভীতি ও অপরাধ ভীতি দূর করতে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরবাসী অপরাধ দমনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে এই সম্মেলনে। সিএমপি আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমপির ডিসি (অপরাধ) দেবদাস ভট্টাচার্য, মিডিয়া সেলের এডিসি আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
×