ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৫ মে ২০১৬

প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৪ মে ॥ ভিটেবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য সুমি আক্তার (১৮) নামে বাকপ্রতিবন্ধী এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে ধর্ষণের স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেছে গ্রামের এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের নুরজ্জামান মিঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে। তাকে গুরুতর অবস্থায় সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় রাতে সুমির বাবা মোঃ সফিক এক মহিলাসহ সাতজনকে আসামি করে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ওই দিন রাতে নোমান, রহমত উল্যাহ ও তৌহিদুল ইসলাম দিদার নামে তিনজনকে আটক করেছে। ভিকটিমের মা কোহিনূর বেগম জানান, চররুহিতা গ্রামে পার্শ্ববর্তী নোমান নামে এক ব্যক্তির পাকা ভবনের সামনে তার ভাঙ্গাচোরা কাঁচা বসতঘর রয়েছে। নোমানসহ কয়েকজন বাড়িটি দখলের জন্য দীর্ঘদিন থেকে তার ওপর বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। এ ব্যাপারে আদালতে মামলাও রয়েছে। আগামী ১৮ মে মামলার ধার্য তারিখ রয়েছে। এদিকে, শনিবার দুপুরে আসামিদের বিশেষ আদালতে পাঠানো হলে আদালতের বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুন্দরবনে এবার কাঁটাতারের বেড়া, ওয়াচ টাওয়ার স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জীববৈচিত্র্যে সুরক্ষাসহ আগুন দস্যুদের নাশকতা ঠেকাতে এবার বন সন্নিহিত সীমানায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হবে। একই সঙ্গে এই রেঞ্জের ভরাট হয়ে যাওয়া খালসহ মিঠা পানির মাছের খনিখ্যাত ছোট-বড় ২৩টি বিলের প্রতিটি খনন করা হবে। এক মাসে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বনে ৪ বার নাশকতা আগুন লাগার পর পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী ঘটনাস্থল পরিদশ শেষে এ ঘোষণা দেন। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমের মধ্যে শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মংলা উপজেলার বন সন্নিহিত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়াসহ নির্মাণ ও ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হবে। বন সন্নিহিত লোকালয়ের চাঁদপাই রেঞ্জের বৈদ্যমারী থেকে শুরু করে কাটাকালী-বরুইতলা-জিউধরা-আমুরবুনিয়া-গুলিশাখালী- কলমতেজী ও ধানশাগর স্টেশন থেকে নাংলী টহল ফাঁড়ি পর্যন্ত ওয়াচ টাওয়ারসহ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। একই সঙ্গে ভরাট হয়ে যাওয়া ছোট-বড় সব খাল ও বিলসহ পুকুর খনন করা হবে। খনন করা একাধিক পুকুরের মাটি দিয়ে অবশিষ্ট বিল ভরাট করে সেখানে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বনায়ন করা হবে। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ আসার পর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ এখন দ্রুত প্রকল্প তৈরি করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর মতে, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়ে বনে যথেচ্ছার অবৈধ প্রবেশ ও নাশকতা হ্রাস পাবে। পাশাপাশি বাঘ-হরিণসহ বন্য প্রাণীর খাবার পানির উৎস্য সহজ হবে।
×