ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজও দেশে বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৪ মে ২০১৬

আজও দেশে বৃষ্টি হতে পারে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে শুক্রবারও। রাজধানীতেও হয়েছে ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি। আজ শনিবারও দেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়বে। বয়ে যাবে মৃদু তাপপ্রবাহ। শুক্রবার বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনদুর্ভোগ রয়েই গেছে। রাস্তাঘাট ও অলিগলি হয়ে ওঠে কর্দমাক্ত। নিচু জায়গা এবং ভাঙ্গা রাস্তার গর্তে গর্তে জমে যায় বৃষ্টির পানি। সাময়িক দুর্ভোগে পড়ে রাজধানীবাসী। টানা তাপপ্রবাহে বৃষ্টির কথা প্রায় ভুলতে বসেছিল রাজধানীবাসী। সূর্যতাপে কী অসহ্য গরমেই না পুড়ছিল সারাদেশ। বৃষ্টি একেবারেই হচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে আকাশ ভেঙ্গে নামা বৃষ্টি যেন স্বস্তির পরশ বুলিয়ে দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শুক্রবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৬ মিলিমিটার। এর মধ্যে শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে আট ঘণ্টায় এর পরিমাণ ছিল ৯ মিলিমিটার। গত দু’দিন ধরে নগরীতে চলছে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা। রোদের মধ্যে আভাস না দিয়েই নেমে আসে ভারি বর্ষণ। রাজধানীর সকালের আকাশ দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে, ভারি বর্ষণ হবে। দুপুর বারোটার পর নগরীর আকাশ হয়ে ওঠে মেঘাচ্ছন্ন। নেমে আসে মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ। নগরীর বেশিরভাগ এলাকাতেই সৃষ্টি হয় সাময়িক জলাবদ্ধতা। রাস্তাঘাট ও অলিগলি হয়ে উঠে কর্দমাক্ত। চরম দুর্ভোগে পড়ে রাজধানীর মানুষ। সপ্তাহিক ছুটি থাকায় একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠে নগরবাসী। সকালের নাস্তা খেয়ে বিনোদন ও শপিংয়ে বের হয় অনেকে। আর তখনই নেমে আসে বৃষ্টি। রাজধানীর জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়। মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত চলতে থাকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে। নিকটস্থ দোকান ও রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তাদের অনেকের হাতে ছাতা নেই। সামনে পেয়েও বৃষ্টির কারণে তাদের কেউ কেউ বাসে উঠতে পারেননি। নগরীর অনেক রাস্তা ও অলিগলিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে ওই সব খানাখন্দ। এসব জায়গায় পা রাখতে গিয়ে অনেক পথচারীই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এভাবে শুক্রবারের বৃষ্টিতে হাজারীবাগের নিম্নাঞ্চল, রাজধানী সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, ধানম-ির অনেক স্থানেই চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পুরান ঢাকা, পীরেরবাগ, সেনপাড়া পর্বতা, শ্যাওড়াপাড়া, আদাবর, মোহাম্মদপুর, নাখালপাড়া, মিরপুর, টিকাটুলি, বাসাবো, মুগদা, মধুবাজার, শ্যামলী, রামপুরা, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার অজুহাত দেখিয়ে চালকরা অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দেন রিক্সা, অটো সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়া। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ শনিবার ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহবৃষ্টি হতে পারে। মাদারীপুর ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহে ৪৩ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১৯ মিমি, ফরিদপুরে ১০ মিমি, মাদারীপুরে ৪১ মিমি, গোপালগঞ্জে ৩১ মিমি, নেত্রকোনায় ৩৬ মিমি, চট্টগ্রামে ৭০ মিমি, সন্দ্বীপে ২৭ মিমি, সীতাকু-ে ৩১ মিমি, রাঙ্গামাটিতে ৩ মিমি, কুমিল্লায় ৪১ মিমি, চাঁদপুরে ৬৪ মিমি, মাইজদীকোর্টে ৫৬ মিমি, ফেনীতে ১৫ মিমি, সিলেটে ২৭ মিমি, শ্রীমঙ্গলে ৭৪ মিমি, রাজশাহীতে ৩৪ মিমি, বগুড়ায় ১৫ মিমি, বাদলগাছীতে ২০ মিমি, রংপুরে ১৬ মিমি, দিনাজপুরে ১০ মিমি, ডিমলায় ৮ মিমি, যশোরে ৫ মিমি, বরিশালে ৫ মিমি, খেপুপাড়ায় ৩ মিমি ও ভোলায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
×