ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জামায়াত নিষিদ্ধের এখনই সময় ॥ ইমরান

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৩ মে ২০১৬

জামায়াত নিষিদ্ধের এখনই সময় ॥ ইমরান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, সকল আদালতে সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পর একাত্তরের ঘাতক মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ-ের রায় কার্যকর করা হয়েছে। একাত্তরে কুখ্যাত ছাত্রসংঘের সভাপতি এবং ঘাতক আলবদর বাহিনীর প্রধান নিজামীর মৃত্যুদ-ের মধ্য দিয়ে জামায়াতের এদেশে কোনরকম রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অধিকার চূড়ান্তভাবে শেষ হয়ে গেছে। যে সংগঠনের সভাপতির মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদ- কার্যকর হয়েছে, আমরা মনে করি সে সংগঠনের রাজনীতি করার কোন অধিকার থাকতে পারে না। তাই জামায়াত নিষিদ্ধের এখনই উপযুক্ত সময়। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আর কালক্ষেপণ না করে অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ১ কোটি গণস্বাক্ষর সংসদে জমা দিয়েছি। ২০১৩ সালে গণস্বাক্ষর জমা দেবার পর সংসদ পরিষ্কারভাবে জানিয়েছিলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে। এরপর তিন বছর সময় অতিবাহিত হলেও এখনও জামায়াত নিষিদ্ধের কোন অগ্রগতি নেই। আলবদর প্রধান মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ-ের রায় কার্যকরের পর যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতের ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করে শাহবাগে অবস্থান এবং হরতালবিরোধী মিছিল করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান নেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি এবং হরতালবিরোধী নানা সেøাগানের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচী চলে। জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে ইমরান বলেন, যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের পর তার ছেলে এবং জামায়াতে ইসলামী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলেছে, জঙ্গীবাদী কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করবে। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্য পরিষ্কার হুমকি। তাই এদের আর কোন ষড়যন্ত্রের সুযোগ না দিয়ে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করুন। কর্মসূচীর এক পর্যায়ে ইমরান এইচ সরকার বলেন, যুদ্ধাপরাধী নিজামীর দ- কার্যকরের পর পাকিস্তানে মাতম শুরু হয়েছে। পাকিস্তানীদের মাতমই প্রমাণ করে, যুদ্ধাপরাধের বিচারে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক ছিল। নিজামীরা একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে এদেশে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, এটা পাকিস্তানের কান্নাকাটিই প্রমাণ করে। তিনি বলেন, আমি সরকারকে বলব, শুধু ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিচারও শুরু করুন। জামায়াতের আর্থিক যোগানদাতা সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এদেশে জঙ্গীবাদের বিস্তার বন্ধ করুন। অবস্থান কর্মসূচী থেকে হরতালবিরোধী মিছিল বেলা ১২টায় শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ঘুরে আবার শাহবাগে ফিরে আসে।
×