ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার

সুধারামের ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানি হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৩ মে ২০১৬

সুধারামের ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনানি হয়নি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের (চার্জের) ওপর শুনানি হয়নি। এক আসামি অসুস্থ থাকার কারণে আসামী পক্ষ সময়ের আবেদন করেছে। ট্রাইব্যুনাল পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে ৩১ মে। চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ প্রদান করেছেন। পাঁচ আসামির মধ্যে এ মামলায় আটক আছেন- আমীর আহম্মেদ ওরফে আমীর আলী, মোঃ ইউসুফ, মোঃ জয়নাল আবেদীন ও মোঃ আব্দুল কুদ্দুস। পলাতক রয়েছেন আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। অন্যদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা। নোয়াখালীর অভিযুক্ত এই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৬ নবেম্বর তদন্ত শুরু হয় এবং ৩১ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিনই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এসব আসামির বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় ১১১ জনকে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি। উল্লেখ্য, আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী তিনটি অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নোয়াখালীতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এই পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ নবেম্বর তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিনই তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন নোয়াখালীর সুধারাম থানায় ১১১ জনকে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ রয়েছে। প্রসিকিউশনের আনা অভিযোগে বলা হয়- একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি। এছাড়াও একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর ও মোঃ জয়নাল আবেদিন। সর্বশেষ অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর ও মোঃ ইউসুফ। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে একেএম মনসুর সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মোঃ ইউসুফ ও মোঃ জয়নাল আবেদিন দুটি এবং মোঃ আব্দুল কুদ্দুস একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
×