ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার তুরস্কের নিজামী প্রীতি, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ১৩ মে ২০১৬

এবার তুরস্কের নিজামী প্রীতি, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি নিয়ে ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও পাকিস্তান তা শুনছে না। আলবদর নেতা নিজামীর ফাঁসি নিয়ে নাক গলানো অব্যাহত রেখেছে দেশটি। নিজামীর ফাঁসি ঘিরে বৃহস্পতিবার ঢাকা ও ইসলামাবাদের হাইকমিশনারকে তলব ও পাল্টা তলব করা হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করা হয়েছে পাকিস্তানকে। এদিকে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে তুরস্ক। নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদে ঢাকা থেকে তুরস্ক রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে। সূত্র জানায়, নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ বুধবার একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। সর্বসম্মতভাবে পাস হওয়া এই প্রস্তাবে বাংলাদেশের এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাটির প্রতি দৃষ্টি দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় পরিষদের উভয় কক্ষের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে বৈঠক করতেও আহ্বান জানান পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা। প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় দেশটির রেলমন্ত্রী খাজা সাদ রফিক বলেন, শেখ মুজিবের মেয়ে পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কে কাঁটা বিছিয়ে দিচ্ছেন। প্রস্তাবটি জাতীয় পরিষদে পাস হওয়ায় জামায়াত নেতা শের আকবর খান পরিষদের সকল সদস্যকে অভিনন্দন জানান। এদিকে নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের নিন্দা জানিয়ে বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জামায়াত আমিরের একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি পাকিস্তানের সংবিধান ও আইন সমুন্নত রাখতে চেয়েছিলেন। সূত্র জানায়, আলবদর নেতা মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি কার্যকর করায় চরম ক্ষুব্ধ হয়েছে পাকিস্তান। তারই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাজমুল হুদাকে তলব করা হয়। আর নাজমুল হুদাকে তলবের প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে পাল্টা তলব করা হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাজমুল হুদাকে তলব করা হয়। নাজমুল হুদাকে তলবের পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে পাস হওয়া রেজ্যুলেশনের কপি হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি কূটনৈতিক পত্র দেয়া হয়। এতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানের বন্ধুদের প্রতি অবিচার করছে বলে অভিযোগ করে পাকিস্তান। নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে যে শোক প্রস্তাব উঠেছে এবং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে শোক বিবৃতি দিয়েছে, সে অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়েছে ইসলামাবাদ। ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাজমুল হুদাকে তলব করা সে বিষয়টি পরিষ্কার করে দেয়। তবে ইসলামাবাদের এই ধৃষ্টতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাল্টা তলব করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সচিব মিজানুর রহমানের সঙ্গে তিনি দেখা করেন। এ সময় পাকিস্তানের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিকপত্র তুলে দেয়া হয়। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, নিজামীর ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকায় শক্ত প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে কূটনৈতিক পত্র তুলে দেয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দ্বিপক্ষীয় সচিব মিজানুর রহমান পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে এই কূটনৈতিক পত্র তুলে দেন। কূটনৈতিক পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর বিচার ঘিরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণায় বিবৃতি দিয়েছে। এছাড়া দেশটি জাতীয় পরিষদে একটি রেজ্যুলেশন পাস করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেয়া ও রেজ্যুলেশন পাস করা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা। এছাড়া ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধ বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ আইন প্রণয়ন করেছে। আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলবের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপক্ষীয়) মিজানুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, পাকিস্তানের দেয়া বিবৃতি এবং যে ভাষায় তারা নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে- তা মোটেই কাম্য নয়। আমরা পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে ডেকে স্পষ্ট কড়া ভাষায় প্রতিবাদ করেছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে জোর দিয়ে বলা হয়েছে। তিনি জানান, সুজা আলম আশ্বাস দিয়েছেন তিনি পাকিস্তানের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। সূত্র জানায়, মতিউর রহমান নিজামীকে নিয়ে পাকিস্তান গত এক সপ্তাহের মধ্যে দুই দফা বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে ৬ মে বিবৃতি দিয়েছিল তারা। সোমবার ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইসলামাবাদের দেয়া ৬ মের বিবৃতিকে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলার দুই দিন পর আবার দেশটি একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। এছাড়া নিজামীর আগে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মোঃ কামারুজ্জামানের মৃত্যুদ- কার্যকরের সময়ও একই প্রতিক্রিয়া এসেছিল পাকিস্তান থেকে। এদিকে নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরে ক্ষোভ জানিয়ে পাকিস্তান জামায়াতের আমির সিরাজ-উল হক বলেছেন, পাকিস্তানের প্রতি ভালবাসার কারণেই তাকে (নিজামী) ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। নিজামীর জন্য গায়েবানা জানাজার পাশাপাশি করাচীসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভও করে জামায়াত সমর্থকরা। সিরাজ-উল হক বলেন, ভারতের চাপেই বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ (নওয়াজ) নেতা তালাল চৌধুরী জামায়াত নেতা নিজামীর মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে খুনী বলেছেন। সূত্র জানায়, ঢাকা-ইসলামাবাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শীতল সম্পর্ক চলে আসলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর আগে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদ-ে নাখোশ হয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ওই প্রতিক্রিয়ার প্রতিবাদে দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করে বাংলাদেশ। সে সময় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে জানিয়ে দেয়া হয় পাকিস্তান সরকার সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার কোনভাবেই যেন আর হস্তক্ষেপ না করে, সে বিষয়ে তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়। সেসময় ঢাকার পাক হাইকমিশনারকে তলবের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত বছর ডিসেম্বরে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মৌসুমী রহমানকে তলব করে পাকিস্তান সরকার। তাকে তলবের পর ১৯৭১ সালের হত্যাকা-ে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান। তলব ও পাল্টা তলব নিয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরইমধ্যে ঢাকা থেকে পাকিস্তানের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে বহিষ্কার করা হয়। ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে জঙ্গী তৎপরতার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ দেয় বাংলাদেশ। তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের বিচার ঘিরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। এই প্রেক্ষিতে দুই দেশের কূটনীতিককে তলব পাল্টা তলব ও বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটছে। তবে পাকিস্তানই দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত করে চলেছে। সর্বশেষ নিজামীর আপীল বিভাগের রায় বহাল থাকা ও ফাঁসি কার্যকর নিয়ে আবারও দুই দেশের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে তুরস্ক ॥ যুদ্ধাপরাধী জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদ জানিয়ে তুরস্ক সরকার ঢাকা থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে আঙ্কারায় ফিরিয়ে নিয়েছে বলে খবর দিয়েছে রয়টার্স। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোয়ান নিজেই বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। রাষ্ট্রদূত ডেভরিম ওসতুর্ক ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি বৃহস্পতিবারই আঙ্কারায় ফিরতে পারেন বলে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আনাডলুর খবরে জানানো হয়েছে। আঙ্কারার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনাডলু লিখেছে, নিজামীর ফাঁসি পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ নিয়ে পাকিস্তানের মতো তুরস্কও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করে আসছে। বুধবার প্রথম প্রহরে ঢাকায় নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের পর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেয় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাঁসির প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভও হয়। নিজামীর ফাঁসির খবরে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তার এ ধরনের শাস্তি প্রাপ্য ছিল বলে তুরস্ক মনে করে না। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ-িতদের ফাঁসি কার্যকর ঠেকাতে গত তিন বছরে বার বার বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানানোর বিষয়টি তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্ক মনে করে, এ ধরনের পদ্ধতিতে অতীতের ক্ষত নিরাময় সম্ভব নয়, বরং তা আমাদের বাংলাদেশী ভাইদের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতা আরও বাড়িয়ে দেবে। এদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের কোন খবর তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়নি। যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদে তুরস্ক তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দেয়ার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি কোন তথ্য নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ওই রাষ্ট্রদূত আমাদের জানিয়েছেন, তিনি দেশের বাইরে যাচ্ছেন। তার অবর্তমানে কে দায়িত্ব পালন করবেন সে কথাও আমাদের জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কোন দেশের অভ্যন্তরীণ কোন বিষয় এ সম্পর্কে ব্যত্যয় ঘটাতে পারবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তুরস্কের বিরোধিতার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিচারের বিষয়ে এর আগেও তুরস্ক কিছু প্রশ্ন তুলেছিল। আমরা তাদের যথাযথ জবাব দিয়েছি।
×