ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অস্ট্রেলীয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম এবার পানামা পেপার্সে

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ১২ মে ২০১৬

অস্ট্রেলীয়ার প্রধানমন্ত্রীর নাম এবার পানামা পেপার্সে

অনলাইন ডেস্ক॥ পানামা পেপার্সের দ্বিতীয় কিস্তিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের নাম আসার পর কোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। ম্যালকম টার্নবুল এবং নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার নেভিল রান ১৯৯৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তালিকাভুক্ত স্টার মাইনিং এনএল নামের একটি কোম্পানির পর্যদে যোগ দেন। অস্ট্রেলিয়ান ফাইনান্সিয়াল রিভিউয়ে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সার্বিয়ায় সুখোই লগ নামে আনুমানিক ২ হাজার কোটি অস্ট্রেলীয় ডলারের একটি স্বর্ণ খনি উন্নয়নের জন্য খোলা হয় ওই কোম্পানি। টার্নবুল ও নেভিল রানকে এরপর স্টার টেকনোলজি সার্ভিসেসের পরিচালক করা হয়। এই স্টার টেকনোলজি সার্ভিসেস হলো ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডে নিবন্ধিত স্টার মাইনিং কোম্পানির একটি সাবসিডিয়ারি। স্টার মাইনিং কোম্পানি আবার খোলা হয়েছে পানামার সেই ল ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার মাধ্যমে, যে প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ফাঁস হওয়া অফশোর কেলেঙ্কারি আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। সাংবাদিকদের টার্নবুল বলেন, “এর মধ্যে অসংগতির কোনো ইঙ্গিত তো নেই। আর নতুন কোনো ঘটনাও এটি নয়।” অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি ও নেভিল রান যে কোম্পানির পরিচালক হয়েছিলেন, তা অস্ট্রেলিয়াতেই নিবন্ধিত। “ওই কোম্পানি যদি লাভের মুখ দেখত, তাহলে অস্ট্রেলিয়া সরকার অবশ্যই নির্ধারিত কর পেত। কিন্তু আফসোস, লাভ হয়নি।” সাবেক ব্যাংকার ও প্রযুক্তির খাতের উদ্যোক্তা টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১২ জুলাইয়ের সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারের ব্যস্ততার মধ্যেই পানামা পেপার্সে তার নাম এল। পানামা পেপার্সের প্রথম কিস্তি প্রকাশ্যে আসে চলতি বছরের এপ্রিলের শুরুতে। আর গত ৯ মে দি ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) প্রকাশ করে দ্বিতীয় কিস্তি। গত ৪০ বছর ধরে মোস্যাক ফনসেকা রাজনীতিবিদসহ তাদের ক্ষমতাশালী মক্কেলদের কীভাবে অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছে, নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ও কর ফাঁকি দেওয়ার পথ দেখিয়েছে, সেই তথ্য উঠে আসছে ফাঁস হওয়া নথি থেকে। এসব নথিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বন্ধু, যুক্তরাজ্য ও পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় এবং চীন ও ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের আত্মীয়ের নাম এসেছে এর আগে। পানামা পেপার্সে নাম আসায় এর আগে জনদাবির মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন ও স্পেনের ভারপ্রাপ্ত শিল্পমন্ত্রী হোসে মানুয়েল সোরিয়া। একই কারণে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চিলি চ্যাপ্টারের প্রধানকেও পদত্যাগ করতে হয়। পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির পর বিশ্বের অনেক দেশেই বিত্তবান ও সেলিব্রেটিদের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
×