ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পান্থ আফজাল

শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব ও সিয়াটল

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১২ মে ২০১৬

শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব ও সিয়াটল

সিয়াটলে মাটির প্রজার দেশে গুপী বাঘার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটির প্রজার দেশে’ আন্তর্জাতিক চলচিত্র অঙ্গনের অংশ হতে যাচ্ছে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ‘সিয়াটল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। ১৯ মে আমেরিকার সিয়াটল শহরে শুরু হতে যাচ্ছে বর্ণাঢ্য এই চলচ্চিত্র উৎসবটির ৪২তম আসর। এবারের উৎসবে দেড় লাখ দর্শক দেখবে ৭০টি দেশের ৪০০’র উপর সিনেমা, উত্তর আমেরিকার সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র আসর এটি। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে ‘মাটির প্রজার দেশে’ ছবিটি। উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন হিসেবে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে ‘মাটির প্রজার দেশের’। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন বিজন, প্রযোজনা করেছেন আরিফুর রহমান। ছবিটি চিত্রায়িত হয়েছে রাজশাহী ও ধামরাইতে। সিয়াটলের আমন্ত্রণে উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন পরিচালক ও প্রযোজক। এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন মাহমুদুর অনিন্দ্য, শেউলী আক্তার, চিন্ময়ী গুপ্তা, রোকেয়া প্রাচী, মনির আহমেদ সাকিল, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ইকবাল হোসেন, রামিজ রাজু, আব্দুল্লাহ রানা, কচি খন্দকার, মাহফুজা বেগম রুমা, প্রশান্ত ত্রিপুরা। স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্র বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে দুটি রবীন্দ্র শিশুতোষ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এগুলো হলো টোকন ঠাকুরের ‘রাজপুত্তুর’ ও সুমনা সিদ্দিকীর ‘মাধো’। সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব আক্তারী মমতাজ, রবীন্দ্র গবেষক আহমদ রফিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। রবীন্দ্রনাথের ‘মাধো’ কবিতা অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য শিশু চলচ্চিত্র তৈরি করেছেন সুমনা সিদ্দিকী যেটির নামও রাখা হয়েছে ‘মাধো’। পরিচালক সুমনা সিদ্দিকীর ভাষায়, ‘মাধো একটি নস্টালজিক চরিত্র। আমাদের সবার শৈশবের সঙ্গে মিশে আছে মাধোর শৈশব। আমরা সেই শৈশবের কথা ভেবে পুলকিত হই, শিহরিত হই। আমাদের মনে সেই শৈশবে ফিরে যাওয়ার আকাক্সক্ষা জাগে।’ গত বছর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘শিশুচলচ্চিত্র নির্মাণ অনুদান’ পেয়েছিলেন সুমনা সিদ্দিকী। তিনি রবীন্দ্রনাথের ‘মাধো’ চলচ্চিত্রটির শূটিং এপ্রিল ও আগস্ট মাসে করেছেন মুন্সীগঞ্জে। ছবির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অলোক বসু। চিত্রগ্রহণ করেছেন আজিমুল হক। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ফোয়াদ নাসের বাবু। ‘মাধো’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইয়ান। অলোক বসুর চিত্রনাট্য ও সংলাপে ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুমনা সিদ্দিকী। এতে মাধো চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়ান। আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, নাজনীন হাসান চুমকী, মাজনুন মিজান, অলোক বসু, কাজী উজ্জ্বল, লিটু সাখাওয়াৎ, বিশ্বজিৎ সরকার, সানি আবদুল্লাহ প্রমুখ। ছবিটির গল্পে দেখা যায়, জগন্নাথ তার ছেলে মাধোকে নিজের পেশার কাজে উদ্বুদ্ধ করতে চায়। কিন্তু মাধোর এসবের প্রতি মন নেই। তার মন পড়ে থাকে শহরতলির বাইরের দীঘির পাড়ে, গুলিডাঙা, দোলনা, ফলের বাগান, শালিক পাখি, কাঠবেড়ালি, মাছ ধরার ছিপ, সিসুডালের ছড়ি কিংবা তার কুকুর বটুর প্রতি। রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।
×