ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নদী বাঁচাতে ভাইরাস !

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১২ মে ২০১৬

নদী বাঁচাতে ভাইরাস !

অস্ট্রেলিয়ার নদনদীর জন্য মূর্তমান আতঙ্ক এখন কার্প মাছ। রং-বেরঙের মাছগুলো দেখতে যেমন চমৎকার, খেতেও সুস্বাদু। উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে স্বাদু পানির এই মাছগুলো দেশটিতে প্রথম ছাড়া হয়েছিল। যারা এই মাছ সেখানে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা অনেকটা সরল মনেই কাজটি করেছিলেন। এই মাছ যে অস্ট্রেলিয়ার নদনদীর জন্য কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠবে সেটি তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বহু দেশের জন্য কার্প মাছ যেখানে প্রোটিনের অন্যতম উৎস, অস্ট্রেলিয়ার জন্য ব্যাপারটি সে রকম নয়। অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় মারে ডার্লিং অববাহিকায় অবস্থিত নদনদী দেশটির স্বাদু পানির মাছের প্রধান উৎস। অঞ্চলটিতে ৫৭টি প্রজাতির মাছ থাকলেও রাক্ষুসে কার্প তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। শুধু মাছ নয় কার্প মাছ যেখানে থাকে তার আশপাশে পানি এমন ঘোলা হয়ে ওঠে যে আশপাশের পাখিও খাবার ও পানীয় সংগ্রহের জন্য নদীতে আসে না। এ অবস্থায় কার্পের বংশ বিস্তার ঠেকাতে বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের শরণাপন্ন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিসরো) গবেষকরা দেখেছেন হার্পেস প্রজাতির ভাইরাস কার্প মাছের শত্রু। সিসরোর অস্ট্রেলিয়ান হেলথ ল্যাবরেটরিজ কার্প কন্ট্রোল টিমের প্রধান গবেষক ড. কেন ম্যাককোল গিজম্যাগ সাময়িকীকে জানিয়েছেন, সিপ্রিনিড হার্পেসভাইরাস ৩ (সিওয়াইএইচভি ৩) কার্প মাছকে আক্রান্ত করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একে মেরে ফেলে। এই ভাইরাসের নিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ কার্পের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারে। ১৯৯৮ সালে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ইসরাইলে প্রচুর গবাদিপশু মারা গিয়েছিল। সেটি এখন অস্ট্রেলিয়ার মৃতপ্রায় নদনদীকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যবহার করা হবে। -সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।
×