ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জ তামিমের

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১২ মে ২০১৬

মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জ তামিমের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ মানেই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ। খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ। কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ। সমর্থকদের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে জিততে চায় সবাই। কিন্তু জয় মিলে যে কোন একদলের। সেই দলটি আজ হবে কারা? মোহামেডান না আবাহনী? আবাহনীর অধিনায়ক তামিম ইকবাল মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ জিততে চান। স্নায়ুচাপের ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন রেসের পথে এক ধাপ এগিয়েও যেতে চান। তামিমকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ কি খেলোয়াড়দের জন্য সবচেয়ে বড় ম্যাচ? তামিম জানান, ‘অবশ্যই। ওই ফিলিংসটা আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। আমরা কাল (আজ) মোহামেডানকে ফেস করতে যাচ্ছি। আমি নিশ্চিত মোহামেডানের খেলোয়াড়দের মধ্যেও থাকে যে আবাহনীর সাথে খেলা। ওই রেসটা থাকে আর দর্শকরাও খবর নিয়ে পছন্দ করেন আবাহনী মোহামেডান খেলায় কে জিতছে? এটা একটা চ্যালেঞ্জ। আর আমরা চেষ্টা করবো এ চ্যালেঞ্জটা যতটুকু পজিটিভভাবে নিতে পারি। আমাদের আসলে টিম হিসেবে আরও বেটার ক্রিকেট খেলতে হবে। পাঁচটা ম্যাচে দুইটা হেরেছি তিনটা জিতেছি। কিন্তু আমরা জানি আমরা এখনও সেরা খেলতে পারি নাই।’ চ্যাম্পিয়ন দল গড়েছে আবাহনী। কিন্তু সেই তুলনায় মাঠে প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। তামিম চান মোহামেডানকে আজ হারিয়ে এগিয়ে যেতে, ‘প্রস্তুতি তো ভালই চলছে। আমার কাছে মনে হতো টিম হিসেবে আমাদের আরও অনেক ভাল খেলা উচিত। শেষ যে কয়টা ম্যাচ খেলেছি, তাতে দুই তিনটা ম্যাচ জিতেছি। তবে আমার মনে হয় না আমরা বেস্ট ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। এই টুর্নামেন্টে ভাল অবস্থানে থাকতে, চ্যাম্পিয়ন রেসে থাকতে, এরচেয়ে অনেক বেটার ক্রিকেট খেলতে হবে। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমরা খুব একটা ভাল ক্রিকেট খেলছি না। মোহামেডান টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল। তাদের বিপক্ষে জিততে হলে অথবা প্রতিযোগিতা করতে হলে লাস্ট যেভাবে খেলেছি তারচেয়ে অনেক ভাল ক্রিকেট খেলতে হবে।’ লিটন কুমার দাস আবাহনীর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান। গত আসরে সেরা দুইয়ে ছিলেন। অথচ এবার একেবারে নীরব! তার ব্যাটে রানই দেখা যাচ্ছে না। তাতে করে আবাহনীও ভুগছে। তামিম মনে করেন যে কোন মুহূর্তে ছন্দে ফিরতে পারে লিটন। তাতে করে আবাহনীও জেগে উঠবে, ‘দেখেন গ্যাপতো কম বেশি সব দলেই থাকে। হ্যাঁ লিটন খুব একটা ফর্মে নাই। কিন্তু আমি একটা কথা সব সময় বিশ্বাস করি একটা সিঙ্গেল ডেলিভারির ওপর নির্ভর করে। একটা ভাল বল, একটা ভাল চার, একটা ব্যাটসম্যানকে ফর্মে ফেরত নিয়ে আসতে পারে। আমার বিশ্বাস দুই তিনটা বল বা দশটা বল ভালভাবে যদি লিটন ফেস করে তাহলে ফর্মে ফিরে আসবে। আর ওর ফর্মে ফেরা আমাদের দলের জন্য অনেক বড় জিনিস হবে। কারণ ও দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। আমরা সবাই ওকে সাপোর্ট করি। আশাকরি খারাপ সময় ছেড়ে চলে আসবে।’ নিজের ব্যাটিং ভাল হলেও বড় হচ্ছে না ইনিংস। এ নিয়ে তামিমের মধ্যে আছে আক্ষেপ। নিজেই জানালেন, ‘আর আমি নিজেও ৫০/৬০ করে আউট হয়ে যাচ্ছি। এমন উইকেটে বা আমি যে দলে খেলছি সে দলের জন্য এটা ভাল ম্যাসেজ না। আর পরের ম্যাচে আমি যদি এমন সুযোগ পাই তাহলে আমি তা বড় করতে পারি তাহলে টিমের যে দুর্বলতাগুলো থাকে তা কাভার হয়ে যায়। এটা শুধু আমার জন্য না, যে কোন খেলোয়াড় যদি বড় রান করে ৭০-৮০-১০০ রান যদি করে তাহলে একটা টিমের দুর্বলতাগুলো থাকে তা কাভার হয়ে যায়।’ আগে আবাহনী মোহামেডান ম্যাচে কিছু ব্র্যান্ড খেলোয়াড় ছিল। এখন ওইটা নাই। তামিম এ নিয়ে মনে করছেন, ‘ড্রাফট সিস্টেমের একটা কারণ, খেলোয়াড়রা ঠিক করতে পারে না কোন্ জায়গায় খেলবে। এটা ঠিক আমি যদি একটা দলে চার পাঁচ বছর খেলি তাহলে ওই দলের প্রতি আমার একটা আলাদা ফিলিংস তৈরি হয়ে যাবে। আমি নিশ্চিত আকরাম চাচা, নান্নু ভাই উনারা একটা টিমে দশ বছর পনের বছর খেলেছেন, উনাদের মধ্যে যে ফিলিংসটা ছিল এটা হয়তো এই টিমে নাই। কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যে আমরা জানি আমরা আবাহনীকে রিপ্রেজেন্ট করছি এবং মোহামেডান জানে তারা মোহামেডানকে রিপ্রেজেন্ট করছে। এই দুইটা দলের একটা ইতিহাস আছে, এই দুইটা দলের যে খেলাটা হয় তারও একটা ইতিহাস আছে। ওই ইতিহাসটা আমাদের মাথায় রেখে আমরা জানি এর গুরুত্ব কতটুকু।’
×