ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাছের পরিত্যক্ত অংশ রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১২ মে ২০১৬

মাছের পরিত্যক্ত অংশ রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মাছের দেহের পরিত্যক্ত অংশসমূহ প্রক্রিয়াজাত করে ওষুধ, রাসায়নিকসহ বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, এ থেকে উৎপাদিত পণ্য রফতানি করে অর্জন করা যায় বৈদেশিক মুদ্রা। তবে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। রবিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ শ্রিম্প এ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মৎস্য অধিদফতর, মেরিন ফিশারিজ একাডেমি এবং বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ‘কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড ভ্যালু এডিশন ইন ফিশ এ্যান্ড শ্রিম্প প্রসেসিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলোচকগণ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। ফিশারিজ প্রোডাক্টকস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় ৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা। মেরিন ফিশারিজ একাডেমির কনফারেন্স হলে আয়োজিত প্রশিক্ষণের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে মাছের দেহের বিভিন্ন পরিত্যক্ত অংশসমূহ নতুনভাবে কিভাবে প্রক্রিয়াজাত করে আরও ব্যবহার উপযোগী করা যায়। এছাড়াও মাছের পরিত্যক্ত অংশসমূহকে কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মৎস্য ওষুধ, রাসায়নিক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প পণ্যের লাভজনক কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে কর্মশালায় বিশদ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণার্থীরা বাংলাদেশে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচকগণ। প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী দিনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রিম্প এ্যান্ড ফিশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ গোলাম মোস্তফা, এসআরএল মেরিন প্রোডাক্টস লিমিটেডের চিফ অপারেশন অফিসার সৈয়দ ইসতিয়াক এবং ইউএনইউ-এফটিপি, আইসল্যান্ডের প্রজেক্ট ম্যানেজার মেরি ফ্রান্সিস ডেবিটসন ও ড. গুডমুন্ডুর স্টিফেনসন। প্রশিক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির প্রশিক্ষক, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট-চট্টগ্রামের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ মৎস্য প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানের মোট ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
×