ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

হারাচ্ছি নিজের দোষে

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১২ মে ২০১৬

হারাচ্ছি নিজের দোষে

সাগর কোড়াইয়া বাঙালীর গর্ব করার মতো অনেক কিছু রয়েছে। ‘মাছে ভাতে বাঙালী’ বা ‘অতিথিপরায়ণ বাঙালী’ এই সুনামের পাশাপাশি বাঙালীর ‘একান্নবর্তী পরিবার’-এর বিষয়টি বাঙালীকে একটি অনন্য মর্যাদা দিয়েছে। বাঙালীর শিকড় হচ্ছে গ্রাম তাই গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যেই গড়ে ওঠে একান্নবর্তী পরিবার। কিন্তু যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে একান্নবর্তী পরিবারের সংখ্যা দিনে দিনে লোপ পাচ্ছে। একক পরিবারই যেন হয়ে উঠছে আনন্দের আবাসস্থল। একক পরিবার গঠন ধ্বংসাত্মক নয়। তবে ধ্বংসাত্মক তখনই যখন একক পরিবারে যে সম্প্রীতি থাকার কথা তার বদলে সেখানে বিরাজ করে অসম্প্রীতি, হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা। একক পরিবারের অসস্প্রীতির জন্য কাকে দোষ দেব; আধুনিকতার ছোঁয়া নাকি সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়? এককভাবে কাউকে দোষী করতে পারব না। দোষের ভার আমাদের প্রত্যেকের ওপরই বর্তায়। কারণ আধুনিক প্রযুক্তি আমরাই ব্যবহার করি আবার সামাজিক মূল্যবোধ আমরাই ভাঙ্গি। আধুনিকতার নামে অনেকে পুরনো শিক্ষাকে বাদ দিতে চাই। সামাজিক মূল্যবোধকে মনে করি অগ্রহণীয়। কিন্তু এটা ভাবি না যে, সামাজিক মূল্যবোধ চর্চাই হচ্ছে পরিবারে সুখ-সম্প্রীতির দ্বার। মানুষ যখন সভ্য হতে শিখেছে তখন থেকেই পরিবার গঠন শুরু করে। প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট একটা গ-ির মধ্যে আবদ্ধ হয়। নিজের বংশধরদের জন্মদানের পাশাপাশি তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব পিতা-মাতার ওপর পড়ে। পরিবার সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই যে, মানুষের মধ্যে ভালবাসা, ¯েœহ, মমতা, আদর, সোহাগ ও দরদবোধ জাগ্রত হয়েছে তা সঠিক। কারণ যদি ভালবাসা না থাকত তাহলে সৃষ্টি হতো না। যারা বা যিনি ভালবাসার মধ্যে বাস করেন তারাই ভালো পরিবার গঠন করেন। কিন্তু বর্তমানে পরিবারে পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের আর সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা যেন দিন দিন লোপ পাচ্ছে। সকলে ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার অশান্তি সন্তানের মনেও জায়গা করে নিচ্ছে। পরিবারে দেখা দিচ্ছে অসম্প্রীতি। বিগত কয়েক বছর যাবৎ শোনা যাচ্ছে সন্তানের হাতে পিতা-মাতা খুন হওয়ার কথা। যেখানে পরিবার হওয়ার কথা ছিল নিরাপদ স্থান সেখানে হয়ে পড়ছে নরক। ডিঙিডোবা, রাজশাহী থেকে
×