ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সামাজিক বিপর্যয় রোধে

প্রকাশিত: ০৩:৩৬, ১২ মে ২০১৬

সামাজিক বিপর্যয় রোধে

সঞ্জয় দেবনাথ একটি লতা ছিঁড়তে পারো তোমরা সকলেই কিন্তু যদি দশটা লতা পাঁকিয়ে এনে দেই তখন তারে ছিঁড়ে ফেলা নয়তো সহজ কাজ ছিঁড়তে গেলে পাগলা হাতি হয়তো পাবে লাজ। এই যে দশটি লতা পাঁকানোর ব্যাপার, এটাই হলো পারিবারিক সম্প্রীতি। কয়েক দশক আগেও বাংলাদেশে পারিবারিক সম্প্রীতি ছিল। হাল সময়ে তাতে ফাটল ধরছে। এ ফাটল একদিনে তৈরি হয়নি। নানা কারণে ঠুনকো হচ্ছে পারিবারিক সম্প্রীতির বন্ধন। যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির প্রভাবও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রযুক্তিতে শীর্ষে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিজ্ঞানীরা তাদের নিজ দেশে পারিবারিক সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। সুস্থ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের জন্য পারিবারিক সম্প্রীতির বিকল্প নেই বলেও তাদের অভিমত। আমরা তাদের প্রযুক্তিতে নিজেদের জীবন সাজিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত পারিবারিক সম্প্রীতির বন্ধনকে হালকা করছি। এতে সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে সমাজের প্রতিটি স্তরে যে সামাজিক অবক্ষয় বিরাজমান তা হতাশাজনক। শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে, সামাজিক বিপর্যয় রোধ করতে পারিবারিক সম্প্রীতি বাড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ দেশ বলি আর সমাজ বলি, প্রথম শিক্ষাকেন্দ্র নিজ নিজ পরিবার। পরিবারে ভাল কিছু অর্জিত না হলে, সমাজ ও দেশকে ভাল কিছু দেয়া অসম্ভব। নানা অশান্তি, অস্থিরতায় নিমজ্জিত আমাদের সমাজ। এসব দূর করতে পারিবারিক সম্প্রীতি মহৌষধ হিসেবে কাজ করতে পারে। প্রতিটি পরিবার হয়ে উঠুক পারিবারিক সম্প্রীতির আলয়। পরিবার সুন্দর হলে, সমাজ ও দেশ সুখ ও স্বস্তিময় হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। নাজিরহাট, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম থেকে
×