ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তদন্ত রিপোর্ট

বিএনপি নেতা লিয়াকত বাশখালীতে অস্থিরতার মূল হোতা

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১১ মে ২০১৬

বিএনপি নেতা লিয়াকত বাশখালীতে অস্থিরতার মূল হোতা

বাংলানিউজ ॥ বাঁশখালীর গ-ামারায় এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের ঘটনা নিয়ে গত ৪ এপ্রিল ত্রিমুখী সংঘর্ষে চার গ্রামবাসী নিহতের ঘটনায় বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর উস্কানি প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তিনি গ্রামবাসীকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের কাছে সোমবার সন্ধ্যায় পাঁচ পৃষ্ঠার এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুর রশীদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি প্রায় এক মাস ধরে এ তদন্ত করেন। স্থানীয়দের মধ্যে অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি করা বিভ্রান্তি দূর করতে এবং প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করার কথা সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। তদন্ত প্রতিবেদন বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন মঙ্গলবার বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী দুটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব ও স্থানীয়দের মধ্যে বিদ্যুত কেন্দ্র নিয়ে বিভ্রান্তির কারণে সংঘর্ষে ও গুলিতে ৪ জন মারা গেছেন। বিভ্রান্তি কারা কিভাবে তৈরি করেছে এ প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থানীয় বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে অস্থিতিশীল পরিবেশ ও উত্তেজনা ছড়াতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’ নিহত হওয়ার পর এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিএনপি নেতা লিয়াকত আলীর উস্কানি দেয়া ও উত্তেজনা ছড়ানো বক্তব্যের ভিডিও চিত্র সরকারের প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। পুলিশ এখন খুঁজছে লিয়াকত আলীকে। সাতকানিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, ‘লিয়াকত আলী বাঁশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে আত্মগোপনে থাকতে পারেন বলে আমরা অনুমান করছি। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।’ প্রায় ২০ হাজার কোটি ব্যয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গ-ামারা ইউনিয়নে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। চীন ও এস আলম গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে নেয়া প্রকল্পটি বেসরকারী উদ্যোগে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ।
×