ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

এটিএম জালিয়াতিরোধে প্রয়োজন নিরাপদ তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১১ মে ২০১৬

এটিএম জালিয়াতিরোধে প্রয়োজন নিরাপদ তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ জনবল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এটিএম ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে মানসম্মত ও নিরাপদ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন এ খাতের বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে দক্ষ জনবলের ওপরও জোর দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটিএম ব্যাংকিংয়ের জালিয়াতি বন্ধ করতে হলে প্রথমেই দেশে যে সমস্ত এটিএম মেশিন বসানো হয়েছে প্রতিটির বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। এর কতটি বৈধভাবে আনা হয়েছে। ট্যাক্স দেয়া হয়েছে কিনা। বিভিন্ন দোকান, হোটেলগুলোতে যে এটিএম পস মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে এসবের ওপরও নজরদারি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এটিএম খাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নও বাড়াতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অডিটরিয়ামে মিডিয়া ইনস্টিটিউট ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট (এমআইএসডি) আয়োজিত ‘এটিএম ব্যাংকিং : তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রাহকদের নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী। আলোচনায় অংশ নেন সিটিও ফোরামের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার ও অর্থ সম্পাদক মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক শাহ জিয়াউল হক, ডিবিএল গ্রুপ সিটিও সেহরুল হক জোয়ারদার, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের পরিচালক তারেক বরকত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট অজিত কুমার সরকার, দৈনিক ইত্তেফাকের বিজনেস এডিটর জামাল উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমআইএসডির প্রেসিডেন্ট গোলাম শাহানি। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এটিএম ব্যাংকিংয়ের জালিয়াতির ঘটনা কম হলেও এ খাতের মানবসম্পদ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আর এটিএম খাতটি সরাসরি আইসিটি নির্ভর হওয়ার কারণে আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। এতে বলা হয়, মোট ব্যয়ের শতকরা ১০ শতাংশ এটিএম খাতে ব্যয় করা উচিত ব্যাংকগুলোকে। এছাড়া এটিএম মেশিন যে বিদেশ থেকে আনছে তা বৈধভাবে আসছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা উচিত। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সম্প্রতি এটিএম কার্ড জালিয়াতির যে ঘটনা ঘটেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এটিএম পস মেশিনের মাধ্যমে হয়েছে। এসব পস মেশিন সাধারণ বিভিন্ন খুচরা দোকান, শপিংমল বা দোকানগুলোতে থাকে। এসব পস মেশিনের ওপর কোন ধরনের নজরদারি নেই। এই নজরদারি বাড়াতে হবে। আর তা না হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটতে পারে।
×