ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর ফাঁসি

প্রকাশিত: ০১:১৬, ১০ মে ২০১৬

শাশুড়িকে হত্যার দায়ে পুত্রবধূর ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর ॥ গাজীপুরে শাশুড়িকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে নিহতের পুত্রবধূকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ,কে,এম, এনামুল হক মঙ্গলবার ওই রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তের নাম মোসাঃ রোজিনা। সে ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার ভারুয়ামারী গ্রামের মৃত ফজলুল হকের মেয়ে এবং গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক উত্তর পাড়া এলাকার মো. পারভেজের স্ত্রী। সে আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছে। গাজীপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক উত্তর পাড়া এলাকার বাড়িতে মা পারভীন ও স্ত্রী রোজিনাকে সঙ্গে নিয়ে বসবাস করতো মো. পারভেজ। ওই এলাকার মৃত সবুর উদ্দিনের ছেলে পারভেজ। বিয়ের পর হতেই রোজিনার সঙ্গে তার শাশুড়ি পারভীনের বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের মধ্যে প্রায়শঃ ঝগড়া বিবাদ হতো। গত বছরের ১৫ জানুয়ারি মা ও স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে পারভেজ তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সুযোগে ওই রাতে রোজিনা তার ঘুমন্ত শাশুড়িকে কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এতে পারভীনের বাম চোখ থেতলিয়ে যায় এবং মাথার মগজ বেরিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে। পরদিন বাড়িতে ফিরে এসে পারভেজ তার মায়ের ঘরে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে রোজিনাকে মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করে। এসময় রোজিনা অসংলগ্ন উত্তর দেয়। একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসি রোজিনাকে আটক করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পারভীনের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং রোজিনাকে আটক করে। এঘটনায় পারভেজ কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৩১ মে রোজিনার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেয় পুলিশ। মামলার বিচারকার্য চলাকালে আদালত ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। শুনানী শেষে গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার রায়ে রোজিনাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন। রায়ে একই সঙ্গে আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
×