ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিজামীর ফাঁসি ॥ কারা কর্মকর্তাদের বৈঠক

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১০ মে ২০১৬

নিজামীর ফাঁসি ॥ কারা কর্মকর্তাদের বৈঠক

অনলাইন রিপোর্টার॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসি রায় কার্যকর করার প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ফাঁসির প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছেন কারা কর্মকর্তারা। বৈঠকে ছিলেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল, কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেসার আলমসহ বেশ কয়েকজন কারা কর্মকর্তা। এর আগে কারাগারের ভেতরে ঢুকে পরিদর্শন করেন তারা। বৈঠক শেষে বের হয়ে যান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে নিজামীর ফাঁসি বহাল রেখে রিভিউ আবেদন খারিজের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি কারাগারে পৌঁছানোর পর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর এই নেতাকে ফাঁসিতে ঝোলানোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। রাতেই কারাগারের কনডেম সেলে থাকা নিজামীকে রায়টি পড়ে শোনানো ছাড়াও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড এবং হত্যা-গণহত্যা ও ধর্ষণসহ সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব) দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হচ্ছে নিজামীকে। কারা সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালের যেকোনো সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেটরা কারাগারে এসে নিজামীর কাছে জানতে চাইবেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি-না। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা চাওয়ার পর আবেদন নাকচ হলে শুরু হবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। আইন অনুসারে তখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। তার আগে শেষবারের মতো তার সঙ্গে দেখা করবেন নিজামীর স্বজনেরা। নিজামীর করা রিভিউ (রায় পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজ করে গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। আর সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটায় প্রকাশিত হয় ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়। বিচারিক আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হয়ে রাতেই কারাগার ছাড়াও রায়ের কপি পাঠানো হয় আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার জেলা প্রশাসকের (ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট) কাছে। সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ফাঁসি কার্যকরের আদেশ দেবে কারা কর্তৃপক্ষকে। লিখিত ওই চিঠি পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে নিজামীকে। এদিকে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করে রেখেছে কারা কর্তৃপক্ষ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের দশ জল্লাদের একটি টিমও তৈরি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে মনোনীতরা নিজামীর ফাঁসি কার্যকরে অংশ নেবেন। কারা বিধি অনুসারে, একটি ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সাতজন জল্লাদ অংশ নেন। তাদের প্রধান থাকেন একজন এবং সহযোগী জল্লাদ থাকেন ৬ জন।
×