ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সম্পাদক রনির দুই বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৯ মে ২০১৬

 চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ সম্পাদক রনির দুই বছর কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে অস্ত্রসহ আটক চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে দুই বছর কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬ এর দুটি ধারায় তাকে এক বছর করে মোট দুই বছর কারাদ- দেন। রবিবার সকালে রায়ের কপি হাটহাজারী থানায় পৌঁছার পর তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হাটহাজারী থানার এসআই আজিজুর রহমান জানান, নির্বাচন চলাকালে গত শনিবার দুপুরে মির্জাপুর এলাকায় দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে রনিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রনিকে দুই বছর কারাদ- দেন। রনির কাছে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। রবিবার সকালে রায়ের কপি আসার পর তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানান তিনি। এদিকে রনির মুক্তির দাবিতে রবিবার দুপুরে আদালত পাড়ায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। দুপুর ১টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে যান। তারা মিছিলসহকারে আদালত ভবন, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কার্যালয় প্রদক্ষিণ করে। পরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সমাবেশে অবিলম্বে রনিকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আদালত চত্বরে লাগাতর অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন তারা। এর আগে শনিবার রাতে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন নুরুল আজিম রনি। বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সংগঠনের নিকট তার অনুপস্থিতিতে সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করার আহ্বান জানান। নিজ হাতে লেখা ওই বিবৃতিতে রনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সারাদেশের তৃণমূল নেতাকর্মীরা যখন নৌকা প্রতীকের বিজয়ে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিক তখন আমি আজ অদৃশ্য প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম। আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি ছাত্রলীগের যোদ্ধা। জীবনে কোন অনৈতিক অন্যায় কিংবা অপরাধ করিনি। আমার অপরাধ আমি নেত্রীর নির্বাচনী প্রতীক নৌকাকে নির্বাচিত করতে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে চলেছি। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পর্ষদের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সম্মান রেখে আমার অনুপস্থিতে সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করার প্রার্থনা করছি।
×