ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতা ॥ দেড়শতাধিক বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট, আহত ২০

প্রকাশিত: ০১:৪০, ৮ মে ২০১৬

মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতা ॥ দেড়শতাধিক বাড়ী-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট, আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ফাসিয়াতলা, কালীনগর ও রাজারচরের ৩ গ্রামে হামলা ও লুটপাটের তান্ডব চালিয়েছে নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। এসময় পুরুষ শুন্য বাড়ী-ঘরে হামলায় ২০জন নারী ও শিশু আহত হয়। আহতদের ৬ঘন্টা বাড়ীতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। সাংবাদিকদের যাওয়ার খবরে পুলিশ দুপুর ১টায় গৃহবন্দীদের উদ্ধার করে কালকিনি হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ ও ভুক্তভোগিদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার ৪র্থ ধাপের নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী মো. শাহীদ পারভেজ পরাজিত হন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মিলন সরদার জয়লাভ করেন। রবিবার সকালে মিলন সরদারের সমর্থকরা ৩ গ্রামে অতর্কিত হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় সুফিয়া বেগম (১৮), তাজু বেগম (২৫), নাদিয়া (৭), তাহমিনা (১৩), সাহানারা বেগম (২৫), ফারজানা আক্তার (১০), মহিমা (৫), মোহনা (৪), রুনা বেগম (৩০), আশুরা বেগম (৬০), লাইলী বেগম (২৫), সালেহা বেগম (৪২), সখিনা বেগম (৫৫), জাহিদুল ইসলাম (১২) মেহেরুননেছা (৫০) আমেনা (৫০)সহ ২০জন আহত হলে তাদেরকে নিজ বাড়ীতে গৃহবন্দি করে রাখে। খবর পেয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেলে তারা পুলিশকে খবর দিয়ে কালকিনি থানার এসআই মো. আজিজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে ৩ গ্রামের দেড়শতাধিক ঘর-বাড়ীতে লুট-পাট চালিয়ে প্রায় ৩কোটি টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতি সাধন করে। ভুক্তভোগি রুনা বেগম, আশুরা বেগম, লাইলী বেগম, সখিনা বেগম, সাহানারাসহ শতাধিক নারী বলেন, “আ’লীগ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করে হেরে আমাদের পুরুষরা রাতেই গ্রাম ছাড়া হয়েছে। তারপরও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা সকালে হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ী-ঘর কুপিয়ে ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নেয়। আমাদের দোষ আমরা আ’লীগে ভোট দিয়েছি। এ অত্যাচার চলতে থাকলে আমরা আর নৌকায় ভোট দিবনা।” এ ব্যপারে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হাফিজুর রহমান মিলন সরদার বলেন, “আমি অনেক রাতে ঘুমানোর কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরী হলে উৎসুক কিছু লোকজন একটা ঘরের উপর আঘাত করে ছিল আমি শুনতে পেয়ে তাদের বকা-দিয়েছি। এমন ঘটনা আর ঘটবেনা।” এসআই মো. আজিজ বলেন, ‘গৃহবন্দির কথা শুনে আমি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই’। কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপাসিন্দু বালা বলেন, আমি ঘটনা শুনতে পেয়ে নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি বাড়ী গুলো ভিতরে হওয়ায় জানতে পারিনি।”
×