ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ষোড়শ সংশোধনী: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপীল

প্রকাশিত: ০০:০৪, ৮ মে ২০১৬

ষোড়শ সংশোধনী: হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপীল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিত চেয়ে আপীল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রবিবার এই আপীল করা হয়েছে বলে জানিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, সোমবার চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। সুপ্রীমকোর্টের ৯ আইনজীবীর করা একটি রিট আবেদনে দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বিশেষ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে। সংসদের মাধ্যমে বিচারক অপসারণ প্রক্রিয়াকে ‘ইতিহাসের একটি দুর্ঘটনা’ বলা হয় ওই রায়ে। রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ। আদালত আমাদের আপিল করার জন্য সার্টিফিকেট দিয়েছে। এখন এটি আপীল হিসেবে গণ্য হবে। এই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে রবিবারই আমরা চেম্বার আদালতে যাব।’ হাইকোর্টের এই রায়ের পর বৃহস্পতিবারই সংসদে আইনমন্ত্রীও বলেন, ষোড়শ সংশোধনী সংবিধান পরিপন্থী নয়। এছাড়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে। ওই রায়ের পর জাতীয় সংসদেও তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়। রায়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিচারপতিদের বেতন-ভাতার বিল সংসদে উত্থাপনের সময় ওয়াকআউট করেন বিরোধী দলের সদস্যরা। উচ্চ আদালতের বিচারক অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। অসদাচরণের জন্য উচ্চ আদালতের কোনো বিচারককে কীভাবে অপসারণ করা যাবে, সে প্রক্রিয়া নির্ধারণে আরেকটি আইনের খসড়ায় সম্প্রতি সম্মতি দেয় মন্ত্রিসভা। ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে এই রিট আবেদন হয়। প্রাথমিক শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভম্বর রুল দেয়। রুলে ওই সংশোধনী কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুলের ওপর শুনানি করে আদালত বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
×