ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাদ্রিদে হ্যালেপ-সিবুলকোভার লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ৮ মে ২০১৬

মাদ্রিদে হ্যালেপ-সিবুলকোভার লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মৌসুমের প্রথম কোন ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন সিমোনা হ্যালেপ। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্টোসারকে হারিয়ে মাদ্রিদ ওপেনের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন তিনি। শেষ চারের লড়াইয়ে রোমানিয়ার হ্যালেপ এদিন ৬-২ এবং ৬-০ সেটে পরাজিত করেন সাবেক ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন সামান্থা স্টোসারকে। টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ বাছাই হ্যালেপ ফাইনালে মুখোমুখি হবেন ডোমিনিকা সিবুলকোভার। সেøাভাকিয়ার সিবুলকোভা সেমিফাইনালে ৬-১ এবং ৬-১ সেটে রীতিমতো উড়িয়ে দেন আমেরিকান খেলোয়াড় লোইসা চিরিকোকে। গত কয়েক মৌসুম ধরেই টেনিস কোর্টের আলোচিত নাম সিমোনা হ্যালেপ। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। চলতি মৌসুমেও চোট আর নিষ্প্রভ এই রোমানিয়ান। মাদ্রিদ ওপেনেই প্রথম কোন ফাইনাল তার। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত নাম্বারে থাকা রোমানিয়ান এই টেনিস তারকার লক্ষ্য এখন শিরোপাটাও নিজের করে নেয়া। তবে ফাইনালে তার বাধা এখন ডোমিনিকা সিবুলকোভা। মাদ্রিদ মাস্টার্সে এর আগে কখনই ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি শুক্রবার সেই অসামান্য কীর্তিই গড়লেন তিনি। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাত্র ৫টি ডব্লিউটিএ শিরোপা জিতেছেন ডোমিনিকা সিবুলকোভা। এখন পর্যন্ত তার সর্বোচ্চ অর্জন গ্র্যান্ডসøামের ফাইনাল। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই সেøাভাকিয়ান তারকার। সেবার চীনের লি নার কাছে হেরে ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তার। তারপরও হতাশায় ভেঙ্গে পড়েননি ২৭ বছর বয়সী সিবুলকোভা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার মাদ্রিদ ওপেনের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তাও আবার নিজের জন্মদিনে মাদ্রিদ ওপেনের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছেন সিবুলকোভা। এমন দিনে স্পেনের রাজধানীর এই টুর্নামেন্টে নিজেকে মেলে ধরতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত সিবুলকোভা। ২৭তম জন্মদিনে জয়ের পর সেøাভাকিয়ান তারকা বলেন, ‘আমি যখন জিতে যাই তখন সব সময়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে আজ আমি সত্যিই অনেক খুশি। কারণ এই ম্যাচটা খুব সহজ ছিল না। যদিওবা আমি তা সহজ করে নিয়েছি।’ টেনিস কোর্টে দ্রুততম এবং আক্রমণাত্মক সার্ভের জন্য আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছেন সিবুলকোভা। আমেরিকার লোইসা চিরিকোর বিপক্ষেও ঠিক তেমন পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সিবুলকোভা বলেন, ‘সেমিফাইনালে আমার সেরাটা দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই খেলতে নামি। শুরুটাও দারুণ হয় আমার। সত্যিই তার বিপক্ষে অনেক আক্রমণাত্মক খেলেছি। কি চাই আমি সেটা জানতাম। তাই তার বিপক্ষেও ঠিক সেভাবে খেলি আমি। টেনিস কোর্টে কি অপেক্ষা করছে সে বিষয়ে কোন খেয়াল ছিল না আমার। বরং আমার সেরাটা ঢেলে দেয়াই ছিল আমার মূল কাজ।’ তবে সিবুলকোভার মূল লক্ষ্যই ছিল শুরুটা ভাল করা। সে পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত কাজে লেগেছে তার। এ বিষয়ে সেøাভাকিয়ান তারকা বলেন, ‘আমি আগে থেকেই জানতাম যে এখানে শুরু করাটাই হবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কারণ এমন পরিস্থিতিতে সে একেবারেই নতুন। তাই আমি এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছি। শেষ পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে তা করতেও পেরেছি।’ সিবুলকোভা যখন ফাইনালে জায়গা করে নেন তখনও হ্যালেপ-স্টোসারের অন্য সেমিফাইনালের ম্যাচ হয়নি। তখনই সিবুলকোভা জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন সে বিষয়ে খুব চিন্তিত নন তিনি, ‘আমি প্রস্তুত। টেনিস কোর্টে আমি ভাল খেলছি। আর পারফর্মেন্সের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। তাই অন্যদিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে কে সে বিষয়ে আমার কোন চিন্তা নেই। টেনিস কোর্টে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমার সেরাটা ঢেলে দেয়াই হলো মূল লক্ষ্য। মাদ্রিদেও সেভাবে খেলব।’
×