ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন স্পিনার জুবায়ের

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৮ মে ২০১৬

শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন স্পিনার জুবায়ের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবারই জানা। জাতীয় দলের কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের পছন্দের ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন। জুবায়েরের লেগ স্পিনটা তার মনে ধরেছে। আর তাই বারবারই জুবায়েরকে দলে রাখতে চান। এমনকি একাদশেও রাখার কথা ভাবেন। কিন্তু জুবায়ের টেস্টে যতটা উজ্জ্বল, ওয়ানডে ও টি২০তে ততটা নয়। আর তাই নির্ধারিত ওভারে জুবায়েরকে নিয়ে যেন ভাবনা বাদ দিতে হয়েছে। অথচ এ স্পিনারই কিনা ৫০ ওভারের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ড শেষে শীর্ষে অবস্থান করছেন। ১২ উইকেট নিয়ে আবাহনীর এ স্পিনার বোলারদের মধ্যে এখন সেরার আসনটিই আঁকড়ে রেখেছেন। জুবায়ের যেখানে বোলিংয়ে সেরা হয়ে আছেন, সেখানে ব্যাটিংয়ে টানা চার ম্যাচেই জয় পাওয়া প্রাইম দোলেশ্বরের ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন শীর্ষ স্থানটি অর্জন করেছেন। তৃতীয় রাউন্ড শেষে মোহামেডানের মুশফিকুর রহীম শীর্ষে থাকলেও চতুর্থ রাউন্ডে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি। তার আগেই খেলা শেষ হয়ে যায়। আর তাই মুশফিক সবার উপর আসন থেকে ছিটকে পড়েন। সেই স্থানটি নেন ৪ ম্যাচে দুই শতক ও এক অর্ধশতকসহ ৯১.০০ গড়ে ২৭৩ রান করা ইমতিয়াজ। জাতীয় দলে আছেন। জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েছেন। তারা আবার জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে চান। এমন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে যেমন নৈপুণ্য আশা করা হচ্ছিল, ঠিক তেমনটিই মিলছে। এর মাঝে তরুণ ক্রিকেটাররাও দেখাচ্ছেন ঝলক। যা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আরও অনুপ্রাণিত করছে। তরুণ ক্রিকেটার, জাতীয় দলে খেলেননি এমন ক্রিকেটাররা ভাল করা মানেই হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আরও ভাল করতে হবে। তা না হলে যে ঠিক মানটা থাকে না। এমনটি করতে গিয়ে লীগের জৌলুস যেন এবার আরও বেড়ে যাচ্ছে। দলগুলো যে জিতছে, বেশিরভাগই আবার স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সেই জিতছে। সেখানে জুবায়ের প্রথম ম্যাচেই ৬ উইকেট নিয়ে গত আসরে নিয়মিত দলের হয়ে খেলতে না পারলেও এবার নিয়মিত খেলার দাবিদার হয়ে ওঠেন। খেলছেনও। তার স্পিন বিষেও প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানরা লাল হচ্ছেন। চার ম্যাচে যে ১২ উইকেট নেন, এরমধ্যে প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে কোন উইকেট পাননি। তবে তৃতীয় ম্যাচেই আবার ৪ উইকেট নেন। তখনই শীর্ষে উঠে যান জুবায়ের। সর্বশেষ ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে ৯ উইকেট করে নেয়া মোহামেডানের হাবিবুর রহমান, নাঈম ইসলাম জুনিয়র, ভিক্টোরিয়ার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের মাশরাফি বিন মর্তুজা থেকে উইকেট ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তোলেন। প্রথম ম্যাচের পরই জুবায়ের জানিয়েছিলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ খুব কম পেয়েছি। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে এভাবেই কাজে লাগাব।’ জুবায়ের সুযোগ পাচ্ছেন এবং তা কাজেও লাগাচ্ছেন। তবে জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের পেছনে ফেলে ইমতিয়াজ ব্যাটিং ঝলক দেখিয়েই চলেছেন। চারটি ম্যাচ খেলেছেন। দুটিতেই শতক করেছেন। একটি ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই আউট হলেও আরেক ম্যাচে করেছেন ৭৩ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন ইমতিয়াজ। প্রথম ম্যাচেই শতক করে প্রাইম দোলেশ্বরকে জেতান। পরের ম্যাচেও ৭৩ রান করেন। তৃতীয় ম্যাচে কোন রান করতে না পারলেও দল জিতে। সর্বশেষ ম্যাচটিতেও অপরাজিত ১০০ রান করেন। এমন ব্যাটিং শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে ইমতিয়াজকে। তার পেছনেই আছেন ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের আল আমিন (২৩৯), গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এনামুল হক বিজয় (২৩২ রান) ও মোহামেডানের মুশফিকুর রহীম (২২৭ রান)। ২০০ রান করাদের মধ্যে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২২৩ রান), শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মাহবুবুল করিম (২০৯ রান), মোহামেডানের শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা (২০৯) ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের সাব্বির রহমান রুম্মন (২০০) আছেন।
×