ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কার পার্কিং শেড উদ্বোধন

প্রকাশিত: ০৩:৩৪, ৮ মে ২০১৬

চট্টগ্রাম বন্দরে কার পার্কিং শেড উদ্বোধন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আমদানি করা গাড়ি রাখতে চট্টগ্রাম বন্দরে নির্মিত নতুন কার পার্কিং শেড উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আনুষ্ঠানিকভাবে শেডটির উদ্বোধন করেন। একই সঙ্গে বন্দরের জন্য সংগৃহীত দুটি কার ক্যারিয়ারও উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এতে আমদানি করা গাড়ি খোলা আকাশের নিচে রোদে পোড়ার এবং বৃষ্টিতে ভেজার সেই চিরচেনা দৃশ্যের অবসান ঘটেছে। এখন থেকে আমদানি করা গাড়ি নবনির্মিত এ কারশেডে রাখা হবে। ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ নতুন কারশেডে ৯শ’ গাড়ি রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৪ সালের ৯ মে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রতনু ওহাব এ্যান্ড বারিক এ্যাসোসিয়েটস বন্দর স্টেডিয়ামের বিপরীত পাশে কাস্টম অকশন শেড সংলগ্ন এলাকার ৫ একর জায়গার ওপর নতুন কারশেডের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ইস্পাতের (স্টিল) কাঠামোর ওপর ছাউনি দেয়া ১ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট মেঝের কারশেড তৈরি শেষ হয় ২০১৫ সালের ৮ মে। শেডটিতে যেখানে আট সারিতে ১০০ করে ৮০০ গাড়ি এবং দুই সারিতে ৫০ করে ১০০ গাড়ির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। শেডের চারপাশে একদিকে চলাচলের উপযোগী ২০ ফুট চওড়া সড়ক এবং গাড়ি আনা-নেয়ার জন্য দুটি সারির মাঝে ১৫ ফুট করে জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়নে যা প্রয়োজন তার সবকিছুই বর্তমান সরকার করছে। শুধু বন্দর নয়, সারাদেশে সরকারের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় প্রকল্পের কাজ সরকার সাহসের সঙ্গে করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বন্দরে এখন কোন শ্রমিক অসন্তোষ নেই। তাদের জন্য যা যা প্রয়োজন, তাই করা হবে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনায় এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও দূরদর্শী হতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বন্দর চেয়ারম্যান খালেদ ইকবাল বলেন, আগে চট্টগ্রাম বন্দরে খোলা আকাশের নিচে আমদানি করা গাড়িগুলো থাকায় অনেকক্ষেত্রে কয়েকটি নষ্ট হওয়াসহ নানা জটিলতা হতো। নবনির্মিত কারশেড শুধু আমদানিকারকদের মূল্যবান গাড়িগুলোর নিরাপত্তাই দেবে না, একই সঙ্গে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। পরে দুপুর ১২টায় বন্দরের প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মন্ত্রীর সভাপতিত্বে বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
×