ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মা দিবস

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৭ মে ২০১৬

মা দিবস

বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মা দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। অর্থাৎ আগামীকাল মা দিবস। ১৯১২ সালে আনা জার্ভিস মাদারস ডে ইন্টারন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন (আন্তর্জাতিক মা দিবস সমিতি) গঠন করেন। এমনকি তিনিই ‘মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার’ আর ‘মা দিবস’ এই দুটি শব্দের বহুল প্রচারণা চালাতে সক্ষম হন। আমাদের দেশে যেমন মা দিবস পালন করা হয় মে মাসের ২য় রবিবার, তেমনি অস্ট্রেলিয়াতেও দিবসটি পালন করা হয় একই দিনে। আর মা দিবসে মায়েদের উপহার দেয়ার প্রথাটা কিন্তু চালু হয় এই অস্ট্রেলিয়াতেই। এই উপহার দেয়ার পিছনেও কিন্তু একটা গল্প আছে। জেনেট হেইডেন নামে অস্ট্রেলিয়াতে এক মহিলা ছিলেন যিনি কিনা ছিলেন ডাক্তার। তিনি একবার এক মহিলা আশ্রমে গেলেন রোগী দেখতে। সেখানে গিয়ে তিনি অনেক দুখী মহিলা দেখতে পেলেন, যাদের কিনা তাদের ছেলেমেয়েরা ভুলে গিয়েছে। সেসব মায়েদের ভালবেসে, তাদের আনন্দ দেয়ার জন্য তিনি একটা বুদ্ধি বের করলেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ সাহায্য সংগ্রহ করে স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে মায়েদের উপহার দেয়ালেন। ধীরে ধীরে এ উপহার দেয়াটা আরও বাড়তে লাগল। আর এভাবেই সেসব দুখী মায়েদের মন ভাল হয়ে গেল আর মা দিবসেরও সূচনা হলো। নেপালে মা দিবস উদ্যাপনের ধরনটা একদমই ভিন্ন। সেখানে একদিন নয়, দুদিন নয়, টানা ১৫ দিন চলে মায়ের জন্য উৎসব। ভিয়েতনামে মা দিবসকে বলা হয় ‘লে ভু-লান’। চান্দ্র মাস অনুযায়ী বছরের সপ্তম মাসের পনেরোতম দিনে এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। মা দিবসটি চীনদেশে আগে ততটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীনাদের মনেও এই দিনটি ধীরে ধীরে জায়গা করে নিয়েছে। এখন খুব জাঁকজমকভাবেই সেখানে মা দিবস পালিত হয়। চীনের সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ফুল কার্নেশন মা দিবসের একটি জনপ্রিয় উপহার। দরিদ্র মায়েদের সাহায্য করা, এমনকি পশ্চিম চীনের গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মায়েদের কথা মানুষকে মনে করানোর জন্যই ১৯৯৭ সালে মা দিবসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় চীনে।
×