ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছয় দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট সোমবার

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৭ মে ২০১৬

ছয় দফা দাবিতে  বৃহত্তর চট্টগ্রামে  পরিবহন ধর্মঘট   সোমবার

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বন্দর নগরীতে অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাধা দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) আদালত অবমাননা করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। নেতৃবৃন্দ বলেন, নিবন্ধন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাধা না দিতে আদালতের নির্দেশনা থাকলেও পুলিশ তা মানছে না। আর আদালত অবমাননার প্রতিবাদ ও ৬ দফা দাবিতে আগামী ৯ মে সোমবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে সকল রুটে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে পরিবহন শ্রমিকদের এই ফেডারেশন। শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচীর বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিআরটিসি মার্কেটে সংগঠনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃণাল চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় অটোরিক্সা অপ্রতুল হওয়ায় ২০১৩ সালে অতিরিক্ত চার হাজার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নামানোর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। বিআরটিসির এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ ধারদেনা করে অটোরিক্সা ক্রয় করেন। কিন্তু নানা জটিলতায় সেগুলোর নিবন্ধন করা হয়নি। এদিকে অনিবন্ধিত অটোরিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এ ব্যাপারে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন থেকে নিবন্ধন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অনিবন্ধিত অটোরিক্সাগুলো নগরীতে চলাচল করতে পারবে মর্মে নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে পুলিশ ধরপাকড় চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েকদিনে অন্তত আড়াই শ’ সিএনজি অটোরিক্সা আটক করা হয়েছে। এতে মামলা হয়েছে প্রায় অর্ধশত। পুলিশের এই আচরণ আদালত অবমাননার শামিল। ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন থেকে পরিবহন শ্রমিক নেতারা নগরীতে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচলে কোন ধরনের বাধা না দেয়ার জন্য সিএমপির প্রতি আহ্বান জানান। সম্মেলনে আরও ৬টি দাবি তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে পুলিশের রিকুইজেশন ও টোকেন বাণিজ্য বন্ধ, পরিবহন শ্রমিকদের ওপর শারীরিক নির্যাতনসহ পুলিশী নির্যাতন বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দরে গেট পাশের নামে ট্রাক প্রতি অবৈধভাবে ৯৮ টাকা ও ভেতরে ইউনিয়নের নামে ১০ টাকা আদায় বন্ধ করা এবং মেঘনা ও গোমতি সেতুতে ট্যাঙ্ক লরি থেকে ৫০০ টাকার পরিবর্তে অবৈধ ১২৫০ টাকা টোল আদায় বন্ধ করা। অবিলম্বে অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিক্সার বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ এবং অন্য দাবিগুলো আগামী একমাসের মধ্যে মেনে নেয়ার আহ্বান জানান নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির কার্যকরী সভাপতি রবিউল মাওলা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, আবদুস সবুর, মোঃ হারুন, খোরশেদ আলম, হুমায়ুন কবির ও মোঃ ইউসুফ প্রমুখ।
×