ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলাকারীদের চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী ;###;শীঘ্রই চার্জশীট, অপেক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের;###;১৩ আসামির তিনজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত, অন্য ১০ জন জেলে

সরকার উৎখাত চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৭ মে ২০১৬

সরকার উৎখাত চেষ্টা

গাফফার খান চৌধুরী ॥ বাংলাদেশে আইএসের অপতৎপরতার বিষয়টি বিশ্বের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে এবং দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রেখে সরকার উৎখাত করতেই হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলা করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জেএমবি। হামলাকারীরা এবং দুই অর্থদাতা ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। রাজধানীর সন্নিকটে আশুলিয়ার একটি বাড়িতে দুই মাস আগে হামলার ছক তৈরি হয়েছিল। আদালতে দেয়া পাঁচ হামলাকারী জেএমবি সদস্যের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। আলোচিত এই মামলার চার্জশীট দাখিল করতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চার্জশীটটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। চার্জশীটে ১৩ জেএমবি সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এদের ৩ জন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। অন্য ১০জন কারাগারে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর শুক্রবার রাত দুটোয় পুরান ঢাকার হোসেনী দালানের ইমামবাড়ার তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলায় দুই জনের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। হামলায় ব্যবহৃত হয় হামলাকারীদের তৈরি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচটি হ্যান্ডগ্রেনেড। যার তিনটি বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার হয় দুটি। বিস্ফোরিত গ্রেনেডের তিনটি সেফটি লক হোসেনী দালানের কবরখানা থেকে উদ্ধার হয়। হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে রাজধানীর চকবাজার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। প্রায় চার শ’ বছরের পুরনো এই স্থাপনায় ঐতিহাসিক তাজিয়া মিছিলে হামলার ঘটনায় দেশে-বিদেশে তুমুল আলোচনার জন্ম হয়। দেশে আইএস বা আল কায়েদার মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে বলেও নানাভাবে প্রপাগা-া চলতে থাকে। এ সংক্রান্ত দায়েরকৃত মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এদিকে হোসেনী দালানে বোমা হামলার আগের রাতে ২২ অক্টোবর রাজধানীর গাবতলীর আমিনবাজারে চেকপোস্টে তল্লাশীকালে ছুরিকাঘাতে দারুস সালাম থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইব্রাহিম মোল্লা হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পালানোর সময় বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলা ছাত্র শিবিরের সাথী মাসুদ রানা গ্রেফতার হয়। শুরু হয় মাসুদ রানাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে থাকে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা ও হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলাসহ নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। মাসুদ রানা জানায়, পুলিশ কর্মকর্তাকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি হিরণ ওরফে কামাল ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। কামালের সঙ্গে মাসুদ রানা কামরাঙ্গীরচরে যাচ্ছিল। তাদের ব্যাগে নাশকতা চালানোর নানা সরঞ্জাম ছিল। চেকপোস্টে পুলিশের বাধার মুখে কামাল পুলিশ হত্যা করে পালিয়ে যায়। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী কামাল পুলিশকে হত্যা করেছে। পথে বাধার মুখে পড়লে প্রয়োজনে কাউকে হত্যা করে হলেও সেখান থেকে নিরাপদে সরতে হবে। এমন দলীয় নির্দেশনা মোতাবেক কাজটি করে কামাল। মাসুদ রানার তথ্যমতে, ওই রাতেই কামরাঙ্গীরচরের একটি বাড়ি থেকে পাঁচটি হ্যান্ডগ্রেনেডসহ জামায়াত কর্মী আব্দুল আজিজ মিয়া ও তার দুই ছেলে ছাত্রশিবির কর্মী ফজলে রাব্বী ও রাকিব হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত দুটি হ্যান্ডগ্রেনেড আর কামরাঙ্গীরচর থেকে উদ্ধারকৃত পাঁচটি হ্যান্ডগ্রেনেড হুবহু এক ও অভিন্ন। এরপর মাসুদ রানার দেয়া তথ্যমতে বিভিন্ন সময় একের পর এক গ্রেফতার হয় ১০ জন। এরা হচ্ছে কবির হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আশিক, আরমান ওরফে মনির, জাহিদ হাসান ওরফে মোসাদ, রুবেল ওরফে সজিব। এ চারজন এবং মাসুদ রানা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এদের তথ্যমতে, গ্রেফতার হয় চাঁন মিয়া, ওমর ফারুক ওরফে মানিক, মোঃ শাহজালাল, আবু সাঈদ ও হাফেজ ক্বারী আহসানউল্লাহ মাহমুদ। গ্রেফতারকৃতদের তথ্য মোতাবেক অভিযানকালে হোসেনী দালানে বোমা হামলায় জড়িত জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আলবানি ওরফে হোজ্জা ভাই ওরফে মেম্বার ভাই ওরফে শাহাদত ওরফে মাহফুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা জেএমবির আমির আব্দুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে নোমান এবং কামাল ওরফে প্রকাশ ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে মারা যায়। আসামিদের সবার বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এরা সবাই এক সময় ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৫ জেএমবি সদস্যের জবানবন্দীতে হোসেনী দালানে বোমা হামলা ছাড়াও অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার বহু অজানা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। জবানবন্দীতে বেরিয়ে এসেছে হোসেনী দালানে হামলার নেপথ্য কারণ। জড়িত জঙ্গীরা সারা পৃথিবীতে তোলপাড় সৃষ্টি করতে ২ মাস আগে দেশে বড় ধরনের নাশকতা চালানোর চক্রান্ত করে। বাংলাদেশে আইএসের মতো জঙ্গী সংগঠনের তৎপরতা থাকার বিষয়টি সারা দুনিয়ায় বিশ্বাসযোগ্য করতে, আইএসের কাছ থেকে সমর্থন পেতে এবং দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রেখে ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই হামলাটি করা হয়। এমন পরিকল্পনা মোতাবেক ১৩ জঙ্গী রাজধানীর সন্নিকটে আশুলিয়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। সেখানেই প্রথম রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও হোসেনী দালানের তাজিয়া মিছিলে হামলার ষড়যন্ত্র হয়। চক্রান্ত মোতাবেক মোহাম্মদপুরের বছিলায় দুটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়। এরপর সময় ঘনিয়ে এলে হোসেনী দালানে বোমা হামলার জন্য কামরাঙ্গীরচরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। বছিলা ও কামরাঙ্গীরচরের বাসায় অবস্থান করে জেএমবি সদস্যরা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। বছিলার বাসায় থাকা জঙ্গীরা মোহাম্মদপুর এলাকায় ডিম বিক্রেতার ছদ্মবেশে তাজিয়া মিছিলের এলাকা রেকি করতে থাকে। আর কামরাঙ্গীরচরের বাসায় অবস্থান নেয়া জঙ্গীরাও হোসেনী দালানের সামনে ডিম বিক্রেতার ছদ্মবেশে পুরো এলাকা রেকি করে। গাবতলীতে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যার পর মাসুদ রানা গ্রেফতার হলে হোসেনী দালানের তাজিয়া মিছিলের চক্রান্ত থেকে সরে আসে মোহাম্মদপুরে অবস্থান নেয়া জেএমবির গ্রুপটি। তবে হোসেনী দালানে হামলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া অপর গ্রুপটি সক্রিয় থাকে। জেএমবি সদস্যদের বাসা ভাড়াসহ পুরো অপারেশন চালানোর জন্য ব্যয় হওয়া অর্থের যোগান দেয় গ্রেফতারকৃত শাহজালাল ও হাফেজ ক্বারী আহসানউল্লাহ। আর বাড়ি ভাড়া খোঁজার কাজটি করে ওমর ফারুক ও আবু সাঈদ। গ্রেফতারকৃত চাঁন মিয়া মূলত চালক। তার প্রধান কাজ জেএমবি সদস্যদের গাড়ি দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় আনানেয়া করা। চাঁন মিয়া ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশের প্রিজনভ্যানে কমান্ডো হামলা চালিয়ে পুলিশ হত্যা করে জেএমবির মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি রাকিব হাসান ওরফে হাফেজ মাহমুদ ওরফে রাসেল (৩৫), সালাউদ্দিন সালেহীন (৩৮) ও যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত বোমারু মিজানকে (৩৫) ছিনিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত। যে গাড়িগুলো দিয়ে জেএমবি সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে অপারেশনটি চালায়, তার একটি গাড়ির চালক ছিল চাঁন মিয়া। পরবর্তীতে ছিনতাইকৃত তিন জেএমবি সদস্যের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাকিব হাসান নিহত হয়। হোসেনী দালানে বোমা হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডগুলো তৈরি হয়েছিল গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এ ব্লকের ৯ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়িতে আবিষ্কৃত জেএমবির গ্রেনেড তৈরির কারখানায়। এই কারখানায় দুই মাস ধরে গ্রেনেড তৈরির ট্রেনিং নেয় হামলাকারীরা। এখানকার তৈরি গ্রেনেড হামলার আগে মজুদ করা হয়েছিল কামরাঙ্গীরচরের জেএমবি সদস্যের ভাড়া বাসায়। হামলার আগে ১৭ অক্টোবর হোসেনী দালানে চূড়ান্ত রেকি করে। আর ঘটনার দিন কামরাঙ্গীরচর থেকে চাঁন মিয়া গাড়ি দিয়ে হামলাকারীদের গ্রেনেডসহ রাত একটার দিকে হোসেনী দালানের কাছে নামিয়ে দেয়। রাত সোয়া একটার দিকে হামলাকারীরা নিহত হোজ্জা, আব্দুল্লাহ ও হিরণের নেতৃত্বে সামনের গেট দিয়ে হোসেনী দালানে প্রবেশ করে। গ্রেনেডগুলো ছিল তাদের কোমরে। হামলাকারীরা গ্রেনেড নিয়ে হোসেনী দালানের কবরস্থানে অবস্থান নেয়। এরপর নির্দেশ মোতাবেক জাহিদ হাসান ওরফে মাসুদ একের পর এক গ্রেনেডগুলো নিক্ষেপ করতে থাকে। পর পর পাঁচটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে তিনটি বিস্ফোরিত হয়। অবিস্ফোরিত অবস্থায় থাকে দুটি। গ্রেনেড নিক্ষেপকালে মুসাদের পাশে থেকে কবির হোসেন ওরফে রাশেদ, আরমান ওরফে মনির, রুবেল ওরফে সজীব চারদিকে নজরদারি করছিল। আর হোজ্জা পুরো অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়। হোজ্জাকে সহযোগিতা করে আব্দুল্লাহ ও হিরণ। হামলার পর তারা মানুষের সঙ্গে মিশে যায়। এরপর বেরিয়ে যে যার যার মতো চলে যায়। পরবর্তীতে ডিবির অভিযানে রাজধানীতে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে হোজ্জা, আব্দুল্লাহ ওরফে আলাউদ্দিন ও গাবতলীতে পুলিশ হত্যাকারী হিরণ ওরফে কামাল নিহত হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এবং কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের ৪ নবেম্বর সকালে সাভারের আশুলিয়ার নন্দন পার্কের সামনে পুলিশ চেকপোস্টে ফিল্মিস্টাইলে হামলা করে শিল্প পুলিশের কনস্টেবল মুকুল হোসেনকে হত্যা এবং আরেক পুলিশকে আহত করার আসামি ছিল হোজ্জা। যে মোটরসাইকেলযোগে এসে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছিল, সেই মোটরসাইকেলটির চালক ছিল হোজ্জা। এছাড়া হোজ্জা চলতি বছরের ৫ অক্টোবর রাজধানীর মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে গলা কেটে হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল। সে খিজির খানের হাত-পা বেঁধে অজুখানায় নিয়ে জবাইয়ে সহযোগিতা করে। আর খিজির খানকে জবাই করে হোজ্জার ঘনিষ্ঠ এবং জেএমবির একই গ্রুপের সদস্য তারেক। তারেক পরবর্তীতে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া হোজ্জা গত বছরের ২১ এপ্রিল দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া বাজার শাখায় বোমা মেরে, গুলি চালিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তারক্ষীসহ ৭ জনকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গেও জড়িত ছিল। হোজ্জার গ্রুপের সদস্যরাই পাবনার ঈশ্বরদীতে ধর্মযাজক ফাদার লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টা, চট্টগ্রামে একটি মাজারে দুই খাদেমকে হত্যা করে। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ২৪ মে রাজধানীর কদমতলী থেকে জেএমবির আমির জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি মওলানা সাইদুর রহমান জাফর গ্রেফতার হওয়ার পর জেএমবি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি ভাগের সামরিক শাখার প্রধান ছিল হোজ্জা। হোসেনী দালানের হামলার সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, মূলত আইএসের মদদ পেতে, দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে রেখে সরকার উৎখাত করতে এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা রয়েছে, এমন তথ্য বিশ্বাসযোগ্য করতেই হোসেনী দালানে গ্রেনেড হামলা করেছিল জেএমবির একটি গ্রুপ। ডিবির তরফ থেকে মামলাটির চার্জশীট দাখিলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফাইলটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরেই তা আদালতে দাখিল করা হবে।
×