ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাটহাজারীতে প্রচার মিছিলে গুলি ॥ যুবলীগ কর্মী খুন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ৭ মে ২০১৬

হাটহাজারীতে প্রচার মিছিলে গুলি ॥ যুবলীগ কর্মী খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ৬ মে ॥ হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নুরে এলাহী জুয়েল (৩২) নামে এক যুবলীগকর্মী খুন হয়েছে। তৃতীয় দফা অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় যুবলীগকর্মী গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তাকে মুমূূর্ষু অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ১১টার দিকে সে প্রাণ হারায়। জুয়েল মির্জাপুর ইউনিয়নের কালা বাদশা পাড়ার মৃত ডাঃ শেখ আহমদের পুত্র। জানা গেছে, ওই সময় মির্জাপুর ইউনিয়নে নৌকা মার্কা সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে মিছিল করার সময় প্রতিপক্ষের কর্মীরা দূর থেকে গুলি চালায়। এতে জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়। বাগমারার সব ইউপির নির্বাচন স্থগিত তবুও হামলা স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, সহিংসতার শঙ্কায় বাগমারার সব ইউনিয়নে চতুর্থ দফার নির্বাচন স্থগিতের পরও সহিংসতা থামছে না। বিশেষ করে ভোট স্থগিতের উত্তাপে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে। দুই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা পাল্টা হামলা শুরু করেছে পরস্পরের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগ (পরে মনোনয়ন বাতিল) প্রার্থীর সমর্থক দলীয় নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ভাংচুর করা হয়েছে নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্প। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে নৌকা প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানার। পৃথক মারপিটে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এসব হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। বাগমারা উপজেলার এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দু’জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। এরা হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত আব্দুস সালাম এবং দলের বিদ্রোহী আলমগীর সরকার। শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর মধ্যে চলে আসছিল উত্তেজনা। ভোটের দিনে সহিংসতার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন থেকে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের হ্যাচারি মোড়ে নৌকার পক্ষে ভোট করায় ২০-২৫ জন আওয়ামী লীগকর্মীকে মারপিট করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকারের সমর্থকরা। এছাড়াও নির্বাচন স্থগিতের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকারের সমর্থকরা তেলিপুকুর বাজারে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এরপর তারা আওয়ামী লীগকর্মী মজনুর রহমান, এশাদুল হক ও খোদা বক্সের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম দুলালীপাড়ায় আওয়ামী লীগকর্মী নিযাম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। লক্ষ্মীপুরে কাউন্সিলর প্রার্থীকে হত্যার হুমকি নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল করিমকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা রায়হানের বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ রায়হান। এ দিকে শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ মজুপুর নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুল করিম অভিযোগ করে বলেন, একই ওয়ার্ডের সাবেক একজন কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। বর্তমানেও কাউন্সিলর প্রার্থী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০ দিকে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের সুজামিয়ার ছেলে ও অপর কাউন্সিলর প্রার্থী রায়হান, লকিয়ত উল্যার ছেলে সোহেল, ভুলু পাটোয়ারীর ছেলে ছগির, সুজা মিয়ার ছেলে বেল্লালসহ অজ্ঞাত ৫/৬ গত কয়েকদিন থেকে তাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ দিকে দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের মটকা মসজিদ এলাকায় একা পেয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করা হয়। নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে পরিবারের লোকজনসহ আমাকে গুলি করে হত্যার করার হুমকি দেয়া হয়। এর আগে বিকেলে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। অপরদিকে ওই ওয়ার্ড অপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী রায়হান হুমকি-ধমকির ওই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ মে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের শেষ দিন। নৌকা সমর্থকের শরীর থেঁতলে দিয়েছে যুবদল ক্যাডার স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে জানান, চকরিয়ার পূর্ববড় ভেওলা আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর শেষ নির্বাচনী পথসভায় আসার পথে হায়দার আলী নামের এক সমর্থককে পিটিয়ে জখম করেছে বিএনপির প্রার্থীর ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সমসু মিয়ার হাট এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। আহত ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত হায়দার আলী ৯নম্বর ওয়ার্ডের রাহমত আলীর পুত্র। শরীয়তপুরে পরাজিত প্রার্থীর দেড় শ’ মণ পাট লুট নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর থেকে জানান ॥ শরীয়তপুরে থামছে না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকরা নৌকা মার্কার পরাজিত প্রার্থী তাসলিমা বেগমের সমর্থক দক্ষিণ ভাষাণচর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান সরদারের ১শ’ ৫০ মণ পাট লুট করে নিয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান সরদার জানান, আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থক জব্বার হাওলাদার, মুজাম সরদার, নুরে আলম হাওলাদার, আবুল হোসেন মোল্লা, বাবুল মোল্লা, দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, সেরাজুল হক মাদবর কয়েকদিন ধরে তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। তিনি চাঁদা না দেয়ার কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দাতপুর নতুন বাজারের গুদামে রাখা তার ১৫০ মণ পাট লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়াও শুক্রবার সকালে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওই সমর্থকরা নৌকা মার্কার পরাজিত প্রার্থীর ১০ কর্মী-সমর্থককে দাতপুর নতুন বাজারে যাওয়ার পথে পৃথক পৃথকভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। চর সিংগারিয়া গ্রামের আফরোজা বেগম, ছয়দুননেছা, মেহেরজান বেগম, রহিমা বেগম জানান, নৌকা মার্কার পরাজিত প্রার্থী তাসলিমা বেগমকে ভোট দেয়ার অপরাধে বিজয়ী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকরা তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও ধারালো ছেনদা দিয়ে কুপিয়ে তছনছ করে ঘরে থাকা মালামাল নিয়ে গেছে। এখন সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়ির পুরুষ লোকজনকে মারপিট করার জন্য খুঁজে বেড়াচ্ছে। হামলার ভয়ে নৌকা মার্কার সমর্থক পুরুষরা এখন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। রায়পুরে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী থেকে জানান, নির্বাচন বর্জন করলেন রায়পুরা উপজেলা বাশগাড়ী ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ ফকরুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুর ১২টায় নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাকে প্রচারের সুযোগ না দিয়ে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না করে শেষ পর্যায়ে এসে তারিখ বহাল রাখা সুদূরপ্রসারী ও পূর্ব পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে করে এ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন।
×