ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বেড়িবাঁধ ফুটো করে চিংড়ি চাষ ॥ বাড়ছে ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ৭ মে ২০১৬

বেড়িবাঁধ ফুটো করে চিংড়ি চাষ ॥  বাড়ছে ভাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ আইলাবিধ্বস্ত কয়রা উপজেলায় সরকার বিপুল অর্থ ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। এখনও ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। সরকারের এই উন্নয়ন কর্মকা-কে ম্লান করে দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নেতা। তারা অর্ধশতাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ কেটে কিংবা বাঁধে বড় ছিদ্র করে পাইপ ঢুকিয়ে মৎস্য ঘেরে পানি উত্তোলন করছে। এতে বাঁধ মারাত্মক দুর্বল হয়ে পড়ছে। বাড়ছে নদীর তীর ভাঙ্গনের তীব্রতা। এলাকাবাসী ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অথচ প্রতিকারের জন্য কার্যকর কোন ব্যবস্থা নেই। জানা গেছে, সাত বছর আগে আইলায় উপকূলীয় অন্যান্য উপজেলার ন্যায় খুলনার কয়রা উপজেলয়ও মহাপ্রলয় ঘটে যায়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপে ওই এলাকার মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু সুবিধাবাদী একশ্রেণীর মানুষ পেশীশক্তির জোরে সরকারী জলমহাল দখল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ কেটে ও ফুটো করে পাইপ বসিয়ে নদী থেকে পানি উত্তোলন করছে। সরকারী দলের সমর্থক ও কিছু নেতা এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সূত্র জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৩-১৪/১ ও ১৩-১৪/২ পোল্ডারে বেড়িবাঁধের অর্ধশতাধিক স্থানে ছিদ্র করে বাঁধের তলদেশে পাইপ ঢুকিয়ে পানি ওঠানামা করানো হচ্ছে। এতে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। অব্যাহতভাবে পাইপের মুখ দিয়ে পানি ওঠানামা করায় নদীর পার ভেঙ্গে যাচ্ছে, বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিচ্ছে। কিছু কিছু এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চরামুখা, গোলখালি, আংটিহারা, হরিহরপুর, কাটকাটা, গাববুনি, গাজীপাড়া, কাশিরহাট, হরিণখোলা-ঘাটাখালি, দশালিয়া, মঠবাড়ি, কালীবাড়ি, শিকারিবাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ভাঙ্গনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বেড়িবাঁধ খাড়া ও নিচু হয়ে গেছে। পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বদিউজ্জামান বলেন, বেড়িবাঁধ কেটে বা ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে যারা ঘেরে পানি তুলছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×