ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পান্থ আফজাল

মা দিবস এবং ভালবাসা

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৬ মে ২০১৬

মা দিবস এবং ভালবাসা

‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু যেন ভাই ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই’ মা, মাতৃত্ব এবং মায়ের প্রতি অনভূতির সঙ্গে পৃথিবীর আর কোনকিছুর তুলনা হয় না বলেই তা এত বিরল। সেই বিরল আর দুর্লোভ অনুভূতি আমাদের মনের গভীরে সহজাতভাবেই বিরাজ করে। ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, মা দিবস পালন করার রীতি এ যুগের নয়। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেও অনেক জায়গায় এই দিবসটি পালন করত মানুষ। কী অবাক? অবাক হবারই কথা। খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে থেকেই মিসর, রোম ও গ্রিসে মা দিবস পালন করা হতো। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী মা দিবস পালিত হয়। সময়টা আজ থেকে দেড়শ’ বছর আগের। সপ্তাহের প্রতি রবিবারের সকালটা অ্যানা জারভিসের জন্য একদম অন্যরকম। নিজের প্রতিষ্ঠিত সানডে স্কুলে বাচ্চাদের দিতেন বাইবেল পাঠ। বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি হতো তার নিজের। এদের মুখাবয়বে খুঁজে পেতেন নিজ মায়ের মুখ। ভালবাসা আর শ্রদ্ধায় বিনম্র হতে ইচ্ছে করত মায়ের প্রতি। এ বোধ থেকেই ১৯০৫ সালে মাকে ভালবাসা ও সম্মান জানাতে প্রবর্তন করেন মাদার্স ডে বা মা দিবসের। তবে যুক্তরাষ্ট্রে মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্বীকৃতি ও প্রসার ঘটে ১৯১৪ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার সঙ্গে এবার ১৩ মে ‘মা দিবসটি’ পালন করবে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া, জার্মানিসহ ৪৬টি দেশ। এরপর অনেক পথ পেরিয়ে ১৯১৪ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে জাতীয় মা দিবসের মর্যাদা দেয়। আরও পরে ১৯৬২ সালে এই দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। মা দিবস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পালন করা হয়। শুধু কী তাই, দেশভেদে এই বিশেষ দিবস পালনের রীতিও ভিন্ন ভিন্ন। তবে সব দেশের রীতিতে যত ভিন্নতাই থাকুক একটা ব্যাপারে সবাই কিন্তু সেটা আর কিছুই নয়, সবাই চায় এই দিনে মাকে খুশি করতে। মায়ের সঙ্গে সময় কাটাতে, মাকে সুন্দর সুন্দর জিনিস বানিয়ে উপহার দিতে আরও অনেক কিছু।
×