ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৬ মে ২০১৬

উবাচ

আনন্দে ভরপুর স্টাফ রিপোর্টার ॥ বউ ফিরলেই দিনটি ঐতিহাসিক হবে এ কথা কে ভেবেছিল কোন্ কালে! তবে সম্প্রতি হয়েছে তাই। রওশন মহান মে দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের পাশে এসে বসলেই ওই দিনটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি নিজেই। এককালের স্বৈরশাসক হামেশাই নিজেকে যিনি কবি এবং গীতিকার বলেও পরিচয় দিতে পছন্দ করা তিনি এরশাদ। তিনি আর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। উচ্ছ্বসিত এরশাদ বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। কালো মেঘ কেটে গেছে। সূর্যোদয় হয়ে গেছে। আমার হৃদয় আজ কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আমার হৃদয় আজ আনন্দে ভরপুর। এই আনন্দ প্রকাশের ভাষা নেই। রওশন যে আমার পাশে। আমার স্ত্রী অনেক কথা (মে দিবস প্রসঙ্গে) বলেছেন। আমি বেশি কথা বলতে চাচ্ছি না। উনি আসাতে খুব খুশি হয়েছি। আজ থেকে আমরা এককভাবে জাতীয় পার্টি করব। আমরা ঐক্যবদ্ধ, একসঙ্গে থাকব ইনশাআল্লাহ। আজ থেকে আমাদের নতুন যাত্রা শুরু হলো। এখানেই শেষ নয়, বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা চলাকালে এরশাদ ও রওশন একে অপরকে কবিতা শোনান। সভায় রওশন এরশাদ বক্তব্য দিয়ে উঠে যাচ্ছিলেন। এমন সময় স্ত্রীর হাত ধরে এরশাদ বললেন, ‘কোথায় যাচ্ছ? আমি তোমার জন্য একটি কবিতা লিখেছি। কবিতাটা শোনো।’ এর পরই তিনি রওশনকে ‘আলোর মৌমাছি’ নামে নিজের লেখা কবিতাটি পড়ে শোনান। কবিতা শেষে এরশাদ বলেন, ‘রওশন আমার আলোর মিছিল।’ স্বামীর কবিতা শুনে রওশন বলেন, ‘তিনি (এরশাদ) যেহেতু আমাকে কবিতা শুনিয়েছেন। আমিও তাকে একটি কবিতা শোনাব।’ এর পরই রওশন এরশাদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতাটি এরশাদকে পড়ে শোনান। আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত বছর শুরুর দিকে দেশে বিএনপি- জামায়াত জোট একের পর এক মানুষ পুড়িয়ে খুন করেছে। এই হত্যার মিছিল লম্বা থেকে আরও লম্বা হলে সরকারের টনক নড়ে। কঠোর হলে হত্যাকা- থেমে যায়। এরপর ঘাড়ে চেপেছে গুপ্ত হত্যা। দেশে আনসারুল্লাহ, জেএমবি বলে যারা আটক হচ্ছেন তারা এক সময় শিবিরের সদস্য ছিলেন। জঙ্গী গোষ্ঠীর এখনও যে শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই তা কি খুব নিশ্চিত হয়ে বলা যাবে। দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে পরিকল্পিতভাবে অস্থিরতা তৈরির জন্য হত্যাকা-ের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও দেশে হত্যাকা-ের ক্ষমতাসীন সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন বিএনিপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এক সভায় গত সোমবার তিনি বলেন, সরকার দেশকে সিঙ্গাপুর বানাতে চেয়েছিল তা না পারলেও আজিমপুরের কবরস্থান বানাতে পেরেছে। আজকে কেউ নিরাপদ নয় মন্তব্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের অপশাসনে আওয়ামী লীগও নিরাপদ নয়। আমরা সকলের শান্তি চাই। সরকার ২০১৯-২২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু সব পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হয় না। অনলাইনে আছে স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের এ্যাকাউন্টে আড়াই হাজার কোটি টাকার কল্পিত গল্পে বিএনপি বেশ গরম বোধ করছে। বেগম খালেদা জিয়া বললেন মামলার নথিতে জয়ের এ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের লেনদেনের কথা রয়েছে। এর পর পরই সজীব ওয়াজেদ জয় তাঁর ফেসবুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, এই টাকার হদিস দিতে পারলে তিনি তা এতিমদের দান করে দেবেন। কিন্তু বিএনপি কি এখানেই থেমে গেছে না যায়নি। সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া শ্যামা ওবায়েদের কাছে একটি টিভি টকশোতে জানতে চাওয়া হয় জয়ের এ্যাকাউন্টে টাকা আছে এসব কথা বিএনপি কোথায় পেল। তিনি জানালেন অনলাইনে আছে। এফবিআই বলেছে। রায়ের কোন্ অংশে কোথায় লেখা আছে বিএনপির এই তরুণ নেত্রী তা জানাতে পারেননি। জয় যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিএনপি তা নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি পিছুটান দেন। সঞ্চালক তুমুল হট্টগোলে বারকয়েক অগ্রিম বিজ্ঞাপন বিরতি নিতে বাধ্য হন। ওই টকশোতে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বোঝানোর চেষ্টা করেন, এখানে ওই সব দেশে কোন নির্দিষ্ট আয়ের উৎস ছাড়া বিপুল পরিমাণ টাকা রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা বিএনপির নয়া নেত্রী শুনেছেন অনলাইনে আছে, সেই অনলাইনই যেন সব কিছু। একটি মামলার রায়ে কোথায় কোন্ প্রেক্ষাপটে আছে। আদৌ আদালত বলেছি কি না জয়ের এ্যাকাউন্টেই টাকা রয়েছে। এসব তার কাছে বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য হচ্ছে অনলাইনে আছে তিনি শুনেছেন। মারহাবা আর কি লাগে। চরিত্র হরণে এর থেকে বড় হাতিয়ার আর কি আছে। যদিও আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য শ্যামা ওবায়েদকে বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য বলেছিলেন নয়ত তিনি মিথ্যা বলার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু তা আর দেখা যায়নি। এই স্বভাব যে নতুন কিছু তা নয়, এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন যখন সন্দেহ প্রকাশ করলেন দেশে শহীদদের সংখ্যা ৩০ লাখই কী? তখন দলের অনেক নেতাই এটাকে সমর্থন করে বসেন। গয়েশ্বর তো বলেই বসলেন ও বুদ্ধিজীবীরা মরেছেন বোকার মতো!
×