ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিষ্পন্ন ১৬৮ মামলার

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৬ মে ২০১৬

নিষ্পন্ন ১৬৮ মামলার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টে নিষ্পত্তি হওয়া ১৬৮ মামলার পুনঃশুনানি হচ্ছে না; এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যাচাই বাছাই করছি। এটা (পুনঃশুনানি) হচ্ছে না।’ এই ১৬৮ মামলার বিষয়টি বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য চার সদস্যের আপীল বেঞ্চে উঠলে প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের আমি কথা দিচ্ছি। সব রায় এক মাসের মধ্যে দিয়ে দেব। আমি দায়িত্ব নিয়েছি।’ অবসরের পর রায় লেখা ‘সংবিধান পরিপন্থী’ বলে প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের তিন মাসের মাথায় গত ২৮ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ রায় না হওয়া ওই ১৬৮ মামলা সুপ্রীমকোর্টের কার্যতালিকায় আসে। প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব (আপীল বিভাগ) মোঃ আনিসুর রহমান সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া ১৬৮টি মামলা পুনঃশুনানির জন্য রাখা হয়েছে।’ সুপ্রীমকোর্টের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মামলাগুলোর মধ্যে ১৬১টি মামলা যে বেঞ্চে নিষ্পত্তি হয়েছিল, সেই বেঞ্চে বিচারক হিসেবে বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ছিলেন। আর ৭টি মামলায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন। বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বাংলাদেশের ২০তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যান। আর বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী অবসরে যান গত অক্টোবরে। ২০১৩ সাল থেকে এই দুই বিচারক অবসর নেয়ার আগ পর্যন্ত এই ১৬৮ মামলার নিষ্পত্তি এবং সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষিত হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় এখনও প্রকাশিত হয়নি বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আদালত বসার পর এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদের উপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি এই ১৬৮ মামলার বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত বলতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সহকর্মীরা সহায়তা করছেন। দু’-একটি মামলায় পেপারবুক লাগতে পারে। অনেক দূর জল গড়িয়েছে। কেউ কেউ মারাও গেছেন। চার-পাঁচ বছর আগের মামলাও আছে। কিছু এ্যানোমালিও আছে। দুই-চারটি মামলায় প্রয়োজনে রিহেয়ারিং হতে পারে।’ তবে এক মাসের মধ্যে এসব মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন প্রধান বিচারপতি। চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি নিজের দায়িত্ব নেয়ার বছর পূর্তিতে এক বাণীতে বর্তমান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বলেছিলেন, ‘কোন কোন বিচারপতি রায় লিখতে অস্বাভাবিক বিলম্ব করেন। আবার কেউ কেউ অবসর গ্রহণের দীর্ঘদিন পর পর্যন্ত রায় লেখা অব্যাহত রাখেন, যা আইন ও সংবিধান পরিপন্থী।” আইনবিদদের মধ্যে এ নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে, যা রাজনৈতিক বিতর্কেও গড়ায়।
×